চোখের সামনে হয়ে গেল টেট পরীক্ষা। প্রায় পাঁচ বছর পর টেট পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সামলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই বড় কাজের সাক্ষী থাকতে না পেরে জেলে বসে চঞ্চল হয়ে পড়লেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইডি–সিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ–মানিক। তাই বহু প্রতীক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার দিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বসে উতলা হয়ে উঠলেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? জেল সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন হল আর খবরের কাগজ পড়েন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু রবিবার টেট পরীক্ষা হয়ে গেল রাজ্যজুড়ে। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। টেট সংক্রান্ত একাধিক খবর খুঁটিয়ে পড়েন তিনি। তারপরেই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন হয়ে টিভি খুলে বসে পড়েন তিনি। বেশ খানিকক্ষণ টিভি দেখার পর জেলেই তাঁকে পায়চারি করতে দেখেন কারারক্ষীরা। আবার হঠাৎ টিভি বন্ধ করে চুপচাপ বসে পড়েন। একদৃষ্টিতে জেলের দেওয়ালে তাকিয়ে থাকেন।
আর মানিক কী করলেন জেলে? জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য খবরের কাগজে চোখ রাখেন না। তাঁকে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানের টিভি বিকল হয়ে পড়ে আছে। তাই সকাল থেকেই কারারক্ষীদের তিনি বলতে থাকেন, টিভি চলছে না। এটার কি কিছু ব্যবস্থা করা যায়? জেল সূত্রে খবর, তিনি হয়তো টেট নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই টিভি দেখতে চাইছিলেন। তিনি অন্যান্য দিনে টিভি দেখতে চান না। এরপর অন্য ঘরে উঁকি দিয়ে টিভি দেখছিলেন তিনি। তারপর নিজেই চুপ করে বসে পড়েন। আর কি যেন বিড়বিড় করে বলছিলেন। যা শুনতে পাননি কারারক্ষীরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের এই ভূমিকা থাকলেও শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, আশোককুমার সাহার মতো জেলবন্দি আধিকারিকরা চুপচাপই থেকেছেন। টেট নিয়ে তাঁদের তেমন কোনও উৎসাহ দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পার্থ–মানিকের টিভি ও খবরের কাগজে চোখ রাখার ঘটনা দেখে এটা স্পষ্ট যে, টেটের বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ পুরোপুরি রয়েছে।