বালিগঞ্জের পণ্ডিতিয়া রোডে পার্থ – অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে খালি হাতেই ফিরলেন ইডির গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তালা ভেঙে ওই ফ্ল্যাটে ঢোকেন গোয়েন্দারা। তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। বিকেল ৫টা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। ফেরেন বিধাননগরের CGO কমপ্লেক্সে।
গত মঙ্গলবার সাত ঘণ্টা চেষ্টা করেও পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি ইডির গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটি এক সময় অর্পিতার নামে ছিল। পরে বেশ কয়েকবার হাতবদল হয়েছে। যদিও ফ্ল্যাটটি অর্পিতারই দখলে ছিল। এই নিয়ে জটিলতার জেরে মঙ্গলবার ফিরে আসেন ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে প্রথমে রবীন্দ্রসরোবর থানায় গিয়ে ফ্ল্যাটটির মালিকানা নিয়ে নিশ্চিত হন তারা। তার পর তাঁরা হাজির হন পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে। সঙ্গে ছিল একটি হাতুড়ি ও একজন চাবিওয়ালা।
উদ্ধার হয়েছে ১৮ জোড়া কানের দুল, ১১ টা বালা, আর কী মিলল অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে?
ইডির তদন্তকারীদের উপস্থিতির জন্য আবাসনটির ওই ব্লক ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বহুতলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। এলাকায় ছড়িয়ে ছিলেন কলকাতার পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিকও। কী কারণে তাঁরা সেখানে রয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
মঙ্গলবার বেলা ১২.৩০ মিনিট নাগাদ পণ্ডিতিয়া রোডের ওই আবাসনে পৌঁছন ইডির গোয়েন্দারা। এর পর ওই ফ্ল্যাটের মালিকের খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। আবাসনের কর্মী ও আধিকারিকরা জানান ফ্ল্যাটের মালিক স্বাতী ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক মহিলা। কিন্তু তাঁকে কেউ কোনওদিন প্রত্যক্ষ করেননি। এমনকী ২০১২ সালে ওই ফ্ল্যাট কেনার পর থেকে ১০ বছরে তার রক্ষাণাবেক্ষণ বাবদ প্রদেয় অর্থ শোধ করা হয়নি। যার পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশি। ওই ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে সমস্ত ফ্ল্যাট মালিকের ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে। নম্বর নেই শুধু স্বাতী ঝুনঝুনওয়ালার।
রসায়নে স্নাতক, ১৪০০ কোটির মাদক চক্রে জড়িত মেধাবী যুবক, গ্রেফতার ৫
এর পর ফ্ল্যাটটির মালিকের খোঁজ পেতে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এই ফ্ল্যাট পার্থ বা অর্পিতার নামে নয়, ফলে দরজা ভেঙে ঢোকার পর ভিতরে বেআইনি কিছু না পাওয়া গেলে তাদের আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে। তাই ফ্ল্যাট মালিকের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। বেলা ১২.৩০ মিনিট থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফ্ল্যাটমালিকের দেখা পাননি ইডির গোয়েন্দারা। রাত ৯টা নাগাদ ফ্ল্যাটটি সিল করে ফিরে গিয়েছিলেন তারা।