মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়ের বন্ধুত্বের কথা জানতেন না তিনি। এমনকী এব্যাপারে কখনও সন্দেহও হয়নি তাঁর। মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তিনি। গত ২২ জুলাই অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রথমবার টাকা উদ্ধারের পর থেকে এখনোপর্যন্ত একবারই অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। ওদিকে যে সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসছে তাতে মিনতিদেবী সত্যিই কি জানতেন না এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন মিনতিদেবী ফের জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত একদিনই অর্পিতার বেলঘরিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে এসেছিলেন পার্থবাবু। তখন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। পার্থবাবু বলেছিলেন, অর্পিতার বাড়ি দেখতে এসেছি। অল্প কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মেয়ের সঙ্গে পার্থবাবুর সম্পর্ক নিয়ে কিছু জানতেন না তিনি? মিনতিদেবী বলেন, আমার মনে এই নিয়ে কখনও কোনও প্রশ্ন জাগেনি। সন্দেহজনক কিছু দেখতেও পাইনি।
‘জুতোটা ওর মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম’, পার্থকে লক্ষ্য করে মহিলার জুতো
তবে মিনতিদেবীর কথা কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়ির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাকে নিয়ে অন্তত ১ বার সেখানে গিয়েছিলেন অর্পিতা। একই কথা জানিয়েছেন অর্পিতার গাড়ির এক চালকও। তবে তাদের সঙ্গে পার্থবাবু ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছে, মেয়ের এই বিশাল প্রতিপত্তি নিয়ে কি কখনও কথা হয়নি ২ জনের মধ্যে? বাড়ির বাইরে থাকলেও প্রতি সপ্তাহে মাকে দেখতে যেতেন অর্পিতা। মেয়ের গতিবিধি নিয়ে কি কখনও প্রশ্ন জাগেনি মায়ের মনে?
ওদিকে মঙ্গলবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আদালতের নির্দেশ মেনে অর্পিতা ও পার্থকে জোকা ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যায় ইডি। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসেন অর্পিতা। তবে রবিবারের মতো এদিন আর কান্নাকাটি করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বেশ বলিষ্ঠ ছিল তাঁর মুখভঙ্গি। সাংবাদিকদের দেখে বলে অর্পিতা বলে ওঠেন, ‘এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে, অজান্তে ঘরে এই টাকা ঢোকানো হয়েছে। ’
SSC Scam: আমার অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা ঢোকানো হয়েছে, বিস্ফোরক দাবি অর্পিতার
এই প্রথম প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করলেন অর্পিতা। তাঁর মন্তব্য ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তাঁর ফ্ল্যাটের চাবি থাকত অন্য কারও কাছে? টাকা কী ভাবে ঢুকত আবাসনে? কে অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখে যেত বিপুল টাকা? দিনের পর দিন টাকা রাখা হলেও কেন জানতে পারলেন না অর্পিতা?