পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দলের ওপর থেকে নীচতলা পর্যন্ত নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে নেতাদের। অস্বস্তি এড়াতে বৃহস্পতিবারই পার্থকে বহিষ্কার করেছে দল। তবে তাতেও অস্বস্তি কমছে না। এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য দলের কর্মীদের কার্যত রক্ষণাত্মক খেলার পরামর্শ দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পার্থ বিতর্কে কারও সঙ্গে কোনও বিতর্কে যেতে নিষেধ করা হল দলের নিচুতলার নেতাদের।
শুক্রবার তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশি করে প্রচার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলেও লাগাতার অনলাইনে প্রচার চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আপাতত মাইক বেঁধে সভা করার কোনও দরকার নেই। দরকার নেই জমায়েত বা মিছিল করার। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি বা SSC দুর্নীতি নিয়ে কোথাও কোনও অলোচনা বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে বারণ করা হয়েছে দলীয় কর্মীদের। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন কেউ করলে হাসিমুখে এড়িয়ে যেতে হবে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার প্রায় ৭ দিন পর শুক্রবার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে গত বৃহস্পতিবার বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের পর পার্থকে বহিষ্কার না করে উপায় ছিল না তৃণমূলের।