গ্রেফতারের পর বিধানসভায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরিষদীয়মন্ত্রীর গাড়ি। তারপর দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতেই নবান্ন থেকে সরে যায় নামের ফলক। এবার বন্ধ করে দেওয়া হল বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর। বিধানসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘরটি আপাতত বন্ধই থাকবে। আর এখন ওই ঘর অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। আগে ওই ঘরের বাইরে থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের ফলকও খুলে ফেলা হয়েছিল। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ঘরটি বন্ধই থাকবে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার ভবনে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য ওই ঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হল। মন্ত্রী থাকাকালীন এই ঘর বরাদ্দ ছিল তাঁর জন্য। গত ২৬ জুলাই ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল সেটা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১১ সালের ২০ মে শপথগ্রহণের পর থেকে টানা পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনিই।
ঠিক কী বলছেন বিধানসভার স্পিকার? এই ঘর বন্ধ খরে দেওয়া প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের কোনও ব্যাপার নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যে ঘর ছিল, তা আমাদের বিধানসভার ঘর। ওঁর নিজস্ব ঘর তো নয়! সেটিতে আমরা সুরক্ষিত রেখেছি। যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ঘরটি যেমন ছিল তেমনই থাকবে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘরটি আমাদের পক্ষ থেকে কারও জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। করা হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর অধীনে ছিল শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতর। পার্থ–অর্পিতা, দু’জনেই ইডি’র হেফাজতে রয়েছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তার পর থেকে রাজ্য–রাজনীতি কার্যত তোলপাড়। এই ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরই।