এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে স্থানান্তর করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন কার্ডিয়োলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরীরা।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পার্থের আইনজীবী রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতির আর্জি জানান। যদিও জোকার ইএসআই হাসপাতাল বা আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে ভরতির পক্ষে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। শেষপর্যন্ত পার্থকে এসএসকেএমে আনার নির্দেশ দেয় আদালত। যে পার্থকে দু'দিনের ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে ইডি।
সেইমতো সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পার্থকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। তারপর কার্ডিয়োভাস্কুলার সায়েন্সেসের আইসিসিইউয়ে চিকিৎসা শুরু হয় পার্থের। তাঁর চিকিৎসার জন্য হৃদরোগ, ফুসফুস, স্নায়ুরোগ, মেডিসিনের মতো বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
আদালতে পার্থকে পেশ
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতিতে পার্থের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে ইডি। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে ইডির তরফে জানানো হয়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পার্থের কাছে অর্পিতার যোগ থাকা সম্পত্তির কয়েকটি ফোটোকপি পাওয়া গিয়েছে। দু'জনের কল রেকর্ডও হাতে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দেননি পার্থ। সেইসঙ্গে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘পার্থ নিরীহ নন।’
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর পার্থকে কি পরিকল্পিতভাবে এড়াচ্ছেন মমতা?
পালটা পার্থের আইনজীবীরা দাবি করেন, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে পার্থের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে জামিনের আর্জি জানানো হয়। শারীরিক অবস্থার জন্য পার্থকে হাসপাতালে ভরতিরও আবেদন জানান আইনজীবীরা। যদিও সেই আর্জি গৃহীত হয়নি। পার্থকে দু'দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিশেষত আদালতে সেই মামলা উঠবে বলে সূত্রের খবর।