শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে এবার তিনজন থাকছেন। তিনি জানান, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, যশবন্ত সিনহা দলের সর্বভারতী সহসভাপতি হচ্ছেন। আর সেই ঘোষণার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেল যে তিন জন নয়, বরং মোট চারজন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। দলের চতুর্থ সহসভাপতি হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মমতার অত্যন্ত বিশ্বস্ত বৃত্তে থাকা নেতাদের অন্যতম হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীপদ নিয়ে যখন আইপ্যাকের সঙ্গে বিবাদ ও বিতর্ক তুঙ্গে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোপুরি আস্থা রেখেছিলেন সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পার্থবাবুর পাশাপাশি, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, যশবন্ত সিনহাদের উপরই সর্বভারতীয় স্তরে দলের সাংগঠনিক বিস্তার ও ভাবমূর্তি তৈরির রূপরেখা তৈরি করবেন।
এদিকে শুক্রবারই জানা যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। তাছাড়া নীতি নির্ধারন কমিটির দায়িত্বে থাকছেন যশবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র সহ কয়েকজন। তাঁরাই অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে খসড়া তৈরি করবেন। তাছাড়া জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে থাকছেন সুখেন্দু শেখর রায়। রাজ্যসভা চলাকালীন তিনি ওই দায়িত্বে থাকবেন। লোকসভায় মুখপাত্র থাকবেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। মহুয়া মৈত্রও দিল্লির অফিস থেকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। উত্তরপূর্বের দায়িত্বে থাকছেন সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিক। উত্তরপ্রদেশের কনভেনার হিসাবে থাকছেন রাজেশপতি ত্রিপাঠি ও হরিয়ানার কনভেনার হিসাবে অশোক কানোয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।