বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পার্থ বলির পাঁঠা, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, একযোগে সরব বিরোধীরা

পার্থ বলির পাঁঠা, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, একযোগে সরব বিরোধীরা

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

কার্যত একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আসল অপরাধী কে তা সবাই জানে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের বিধায়কদের বলেছিলেন সুপারিশের তালিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে। এই দুর্নীতি নবান্নের ১৪তলা পর্যন্ত বিস্তৃত।’

বৃহস্পতিবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মমতা। বিকেলে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে দলের সমস্ত পদ থেকেও। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্যের বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার তারা। তাদের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা।

এদিন সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই দুর্নীতির দায় মমতা এড়াতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে রেখে এই তদন্ত সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে ইডির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা উচিত।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম নৈতিকতা থাকলে এতক্ষণে পদত্যাগ করতেন মুখ্যমন্ত্রী।’

কার্যত একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আসল অপরাধী কে তা সবাই জানে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের বিধায়কদের বলেছিলেন সুপারিশের তালিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে। এই দুর্নীতি নবান্নের ১৪তলা পর্যন্ত বিস্তৃত।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে পার্থর কাছে থাকা শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষদীয় দফতর এখন চলে এসেছে মমতার কাছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মন্ত্রিসভায় রদবদলের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছেন তিনি।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতে বৈঠকে বসে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এর পর এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্থকে বহিষ্কার করেছে দল। সঙ্গে তাঁরে অপসারণ করা হয়েছে দলের ৫টি পদ থেকে।

 

বন্ধ করুন