তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ থামাতে অবশেষে ময়দানে নামতে হল দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে, বেফাঁস কথা বললে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এব্যাপারে একমত হয়েছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
সম্প্রতি করোনাকালে জমায়েত বন্ধ রাখা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মন্তব্য’ নিয়ে বিরোধ বাঁধে। অভিষেকের মন্তব্যের বিরোধিতা করে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, ‘ক্ষমতা থাকলে তাড়িয়ে দিক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কল্যাণবাবুর দাবি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে কেউ ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারেন না। এমনকী অভিষেক তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতিতে এসেছেন বলে কটাক্ষ করেন। জানান, কেউ দলীয় পদে বসে পড়তে পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে নেতা হিসাবে মানেন না তিনি।
কল্যাণবাবুর মন্তব্যকে সমর্থন করে শুক্রবার বিবৃতি দেন দলের আরামবাগের সাংসদ আফরিন আলি। ওদিকে অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণকে আক্রমণ করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন বহু নেতা।
পরিস্থিতি জটিল হতেই শনিবার বৈঠকে বসে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বৈঠক শেষে পার্থবাবু বলেন, ‘কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলের অন্দরে তা জানাতে পারেন। কিন্তু দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনও কথা প্রকাশ্যে বললে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ এখন দেখার, দলের কঠোর অবস্থানে তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ থামে কি না।