অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যখন রাস্তায় কেঁদে গড়াগড়ি খাচ্ছেন তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় নিয়ে ফেলল শুক্রবার দুপুরবেলা। মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই ষড়যন্ত্রের শিকার মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রেফতারির পর কেটে গিয়েছে আট দিন। এবার তিনি নিজের স্বপক্ষে সওয়াল করলেন।
ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আজ, শুক্রবার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঢোকার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দল থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’। তখনই তাঁকে হাসপাতালে ঢোকানো হয়। হুইলচেয়ারে করেই হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, ইডির কাছে খুব একটা মুখ খুলছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি আধিকারিকরা তাঁর কাছ থেকে উত্তর শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী কেন মুখ খুলছেন না? এই প্রশ্ন ইডির অফিসারদেরও। নিজের স্বপক্ষে একটিও শব্দ কেন ব্যয় করছেন না? সে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। কুণালের কথায়, ‘পার্থ দা একবারও কেন বললেন না তিনি নির্দোষ?’
ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন পার্থ? এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকে দুটি বিষয় উঠে আসছে। এক, কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি দিয়ে তাঁকে ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে ফেলছে। দুই, দলই তাঁকে কৌশলে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তবে কোনটি তিনি বলতে চেয়েছেন সেটা স্পষ্ট নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। তারপরই এমন মন্তব্য ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে। কার ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি? উঠছে প্রশ্ন।