অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অর্পিতা ইডির কাছে দাবি করেন, এই টাকার বিষয়ে জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। এদিন ফের তাঁর গলায় শোনা যায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। তিনি এদিন বলেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই।’ এরপর ষড়যন্ত্রকারীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় এলে বুঝবেন।’
পার্থকে ইতিমধ্যেই ঝেড়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মন্ত্রিত্বও গিয়েছে। মন্ত্রিত্ব হারানোর পরই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পার্থ। আজকে ফের একবার তাঁর গলায় শোনা গেল ষড়যন্ত্রের কথা। উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এর আগে ২১ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। পাশাপাশি ১৫টি জায়গায় একযোগে চলে তল্লাশি। তল্লাশি চলে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে। এরপর থেকেই অর্পিতার একাধিক সম্পত্তিতে হানা দিতে শুরু করে ইডি।
এরপরই ২৭ জুলাই রবিবার বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছাপিয়ে যায় টালিগঞ্জের অঙ্ককেও। বেলঘড়িয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ। বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে।