পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হয় মন্ত্রিসভা থেকে নিজেকেই সরতে হবে, না হলে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে তিনি নিজেও যে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন না সেটা জানিয়ে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আজ, বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রবেশের সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘পার্থবাবু, আপনি কি মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন?’ সটান জবাবে পার্থ বলেন, ‘কারণ কী!’ অর্থাৎ কী কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। যা না ছাড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।
কেন এমন প্রশ্ন উঠছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি বিধানসভায় ফেরত এসেছে সোমবার। তিনি পরিষদীয় মন্ত্রী। তাই এই গাড়িটি চড়তেন। সেটা ফেরত চাইতেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার পর জল্পনা ছড়ায় তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দেন, গাড়ি ফেরত পাঠানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তিনি নিজেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
আর কী ঘটেছে পার্থের সঙ্গে? তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর মন্ত্রী বলে উল্লেখ করা হচ্ছে না। এমনকী দলের মহাসচিব বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে না। বরং দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে দল এবং সরকার ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একধাপ এগিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা বলেছেন। যাতে সম্মতি জানিয়েছেন পার্থ।
উল্লেখ্য, আগামীকাল, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আছে। সেখানে এই প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। তারপর ঠিক হবে এই ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করে রাখা হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমন নানা জল্পনা ভেসে আসছে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়তে চান না।