এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছে ইডি। গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি হয় বিচারভবনে। তার জামিন নাকচের আবেদন জানিয়ে পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক তথ্য প্রমাণ পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সময় ইডি দাবি করে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্লাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই টাকা চাকরি বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছিল।
ইডির দাবি, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাব খাটিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না করে সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ করেছেন। তার বাড়ি থেকে ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য নামে এক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই অ্যাডমিট কার্ডে ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের সুপারিশ ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগের দুর্নীতিতে পার্থর যোগ খুবই স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়, পার্থর ৩০টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে পার্থর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে হল ১০০টি। তাছাড়া এলআইসির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নমিনিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আঙ্কেল হিসেবে দেখিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও, ২০১ টি কাগুজে সংস্থা পুলিশ পেয়েছে। ইডি সেগুলি পার্থর সংস্থা বলে দাবি করেছে। শুধু তাই নয়, এই সংস্থার ডিরেক্টরদের বেতন মাসে মাত্র ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত বলে ইডির তরফে জানানো হয়। যদিও সেই সমস্ত কোম্পানির মালিকানায় পার্থর নাম নেই বলে দাবি জানান তার আইনজীবী। তবে তিনি জামিনের আবেদন জানালেও অবশ্য সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে আগামী ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে।