শুধু ফ্ল্যাটে কোটি কোটি নগদ জমিয়ে রাখাই নয় ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা পাচার করেছেন তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই মনে করছেন ইডির গোয়েন্দারা। পরিবারের একাধিক সদস্যকে ডিরেক্টর করে ভুয়ো ঠিকানা দেখিয়ে ওই ভুয়ো কোম্পানিগুলি খুলেছিলেন তিনি। যার বেশ কয়েকটির নামও প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে ইডির র্যাডারে আসতে চলেছে পার্থবাবুর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য ও তাঁর মামা।
পার্থ ও অর্পিতার গ্রেফতারির পর অর্পিতার ৩টি ভুয়ো সংস্থার নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার প্রকাশ্যে এল পার্থর ভুয়ো সংস্থার নাম। তার মধ্যে কোনওটির ডিরেক্টর তাঁর জামাই, কোনওটিতে প্রয়াত স্ত্রী। পরিবারের আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়।
কোম্পানি বিষয়ক দফতরের ওয়েবসাইট বলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় ৩টি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। ইমপ্রোলাইন কন্সট্রাকশন, সৃজন এলিভেটরস ও ভিকরণ ইঞ্জিনিয়ারিং। তিনটি কোম্পানিই পার্থবাবুর বাড়ির আসেপাশের বিভিন্ন ঠিকানায় নথিভুক্ত। বাবলিদেবীর প্রয়াণের পর ইম্প্রোলাইন কন্সট্রাকশনের ডিরেক্টর হয়েছেন পার্থবাবুর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য ও তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী।
ওদিকে অ্যাক্রিসিয়েস কনসাল্টিং নামে পার্থর জামাইয়ের নামে আরেকটি কোম্পানির ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল সেটি একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাড়ি। বাড়ির লোকেরা তো কোম্পানির কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লেন।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই সমস্ত কোম্পানির আড়ালে সারদা - রোজভ্যালির কায়দায় শয়ে শয়ে কোটি টাকা সরিয়েছেন পার্থ। সেই সব টাকা কোথায় গেল তা জানতে কোম্পানিগুলির ব্যাঙ্ক খাতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পার্থর জামাই ও তাঁর মামাদের তলব করার তোড়জোড় করছেন গোয়েন্দারা।