প্রেসিডেন্সি জেলে কাটল প্রথম রাত। মাটিতে কম্বল পেতে শুতে হয়েছে। এসি নেই। মাথার উপর পাখার হাওয়াই সম্বল। খাবার তালিকাতেও বিশেষ পদ নেই। রুটি আর সবজির ঘ্যাঁট। এই পরিস্থিতিতে জেলে রাত কাটিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে খবর। আর শুক্রবার রাতে জেলেই নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন পার্থবাবু বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলেছেন পার্থবাবু? জেলে রাত কাটাতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, ‘কেন যে বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এলাম! হয়ত রাজনীতিতে না এলে এই দিন দেখতে হতো না। রাজনীতিতে না এলে এই দিন দেখতে হত না আমাকে।’ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিজের সেল ঢুকেই হতাশা প্রকাশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলের অন্দরেই কর্মীদের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
হঠাৎ কেন এই আক্ষেপ পার্থের? মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর জীবন ছিল বিলাসবহুল। গাড়ি, বাড়ি, অর্থ, লোকবল থেকে নানান সুস্বাদু খানাপিনা। এখন সেসব অতীত। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে মাটিতে শুয়েই কাটাতে হল বিনিদ্র রজনী। একটা সময় তিনি বলে ওঠেন, ‘এখানে থাকব কী করে?’ জেলের আধিকারিককে এই প্রশ্নই করেছেন পার্থ বলে সূত্রের খবর। রাতে ঘুম আসেনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আজ, শনিবার সকালে চা এবং দুটি বিস্কুট খেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়–অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ–অর্পিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আগামী ১৮ অগস্ট পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁদের।