২০২৪ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর মুক্ত হয়েই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তিনি। এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসাবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন অর্পিতা। ৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেয় বিশেষ ইডি আদালত। এবার বিশেষ ইডি আদালতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। আবার কোথা থেকে টাকা পাচ্ছেন অর্পিতা? আগের দুর্নীতির টাকা কি এখনও রয়ে গিয়েছে? এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জামিন পাননি। বরং আশেপাশের সকলে জামিন পেয়ে যাওয়ায় এখন অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সেখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পেয়ে এখন নতুন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। এই নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাও রাখবেন তিনি। আসলে আগের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছিল। তাই জীবন চালানোর জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে চান অর্পিতা বলে জানিয়েছেন আদালতে।
আরও পড়ুন: সল্টলেকের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ব্যক্তির, ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী
কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? গতকাল বিশেষ ইডি আদালতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় হাজিরা দেন। সেখানে তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, অর্পিতার বাবা–মা দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পিতা–মাতা দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তাই তাঁদের পেনশন–সহ অন্যান্য বিষয়ের টাকা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পাবেন। সেই টাকা পেতে গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা প্রয়োজন। তা না হলে টাকা আসবে কেমন করে। আর টাকা না এলে একজন মহিলা তাঁর জীবনযাপন করবেন কেমন করে! তাই নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদিও এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হলে তা থাকবে ইডির নজরে।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে সব ক’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। তাই বাবা–মায়ের পেনশনের টাকা পেতে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা দরকার বলে মনে করেন অর্পিতা। সেই অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি চেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর আইনজীবী মারফত আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদনের পরই ইডির তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। এমনকী বাবার সম্পত্তি থেকে চুরি হয়েছে কিছু জিনিস বলে আদালতে জানান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বিচারক তখন ওই চুরির বিষয়ে স্থানীয় থানায় অর্পিতাকে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন।