টানা ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর আদালতে তোলা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে আসতেই তিনি উপস্থিত সবাইকে হাতজোড় করে নমস্কার জানালেন। শরীরের অবস্থাও ভালো নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। হিমোগ্লোবিন, ক্রিয়েটিনিন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের আর্জি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সেখানেই আদালতে ঢোকার আগে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আর তা নিয়েই এখন জলঘোলা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এদিন আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তখন তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘কেউ ছাড় পাবেন না’। আর এখন এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় অবস্থা দেখা দিয়েছে। কারণ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেখানে দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সুতরাং অনেকেই ধরে নিচ্ছেন এই বাক্যবাণ তিনি ব্যয় করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য।
কিন্তু কাদের কথা বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কারা ছাড় পাবেন না? এই নিয়ে তিনি কোনও স্পষ্ট কিছু বলেননি। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ বলছে, বিজেপি যেভাবে তাঁকে ফাঁসিয়েছে তার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য। নিয়োগ দুর্নীতি শুনানিতে এসে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে এদিনও নির্দিষ্ট করে কোনও ব্যক্তির নাম জানাননি তিনি। আগে তিনি ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। তারপর এই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার ইডি’র বিশেষ আদালতে পেশ করা হল পার্থ–অর্পিতাকে। এখানেই ‘কেউ ছাড় পাবেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে বিচারক তাঁকে লকআপে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। হিমগ্লোবিন কমেছে, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে পার্থের। শরীর অসুস্থ এই মর্মে জামিনের আবেদন করা হয়। যদিও ইডির আইনজীবী বিরোধিতা করে বলেন, ‘বয়সের কারণে এই অসুস্থতা হওয়া স্বাভাবিক। তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে ভুবনেশ্বর এইমস এবং কলকাতার ইএসআই হাসপাতালে। সুতরাং জামিনের প্রয়োজন নেই।’