এসএসকেএমের আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পার্থের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফুসফুস এবং কিডনিতে সমস্যা আছে। সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রাও হেরফের করছে। স্বাভাবিক নয় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। সেই পরিস্থিতিতে কোনওরকম ঝুঁকি না গিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে চিকিৎসকরা কড়া নজর রেখেছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারিভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রকাশ করা হয়নি কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন।
শর্তসাপেক্ষে পার্থের জামিন হয়েছে
এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় তিন বছর জেলে ছিলেন পার্থ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরবর্তীতে তাঁকে সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে বারবার জামিনের আবেদন করেও আদালত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পার্থকে। তারইমধ্যে দিনকয়েক আগে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিন পাননি পার্থ। ফলে তাঁকে জেলেই থাকতে হবে।
প্যানিক অ্যাটাকও হয়েছিল পার্থের
তারইমধ্যে বিভিন্ন অসুখে ভুগতে থাকেন পার্থ। বরাবরই তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল। গ্রেফতারির পরে কয়েকটি শারীরিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে সংশোধনাগারের মধ্যেই পার্থের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। সোমবার আবারও অসুস্থ বোধ করেন। সেই পরিস্থিতিতে শারীরিক পরীক্ষা করে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবেরর শেষের দিকে পার্থের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পার্থের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছিল। জেলে থাকার সময় তা আরও বেড়েছে। এমনিতে কারা দফতর সূত্রে খবর, প্রতি মাসেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পার্থের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়ে থাকে। পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। তারইমধ্যে এবার তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হল। তারপর স্থানান্তরিত করা হল আইসিইউতে।