দল সঙ্গ ছেড়েছে। জেলে এখন তিনি একা। এহেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাধীনতা দিবস কাটল আর পাঁচটা কয়েদির মতো। তবে ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রাক্তন মন্ত্রী জেল কর্তৃপক্ষ থেকে খাতা, কলম চেয়ে নিয়ে ‘অঙ্ক’ কষলেন। পাটিগণিত নয়, আইনি অঙ্ক। দুঁদে রাজনীতিবিদ সিবিআই ও ইডির জাল কেটে বের হওয়ার জন্য পালটা ছক কষতে শুরু করেছেন জেলে। (আরও পড়ুন: বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম)
মন্ত্রী হিসেবে গত এক দশক ধরে অনেকটা আলাদা ভাবে কাটত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাধীনতা দিবস। তবে এবারে তিনি জেলে। তাই স্বভাবতই আগের বছরগুলির মতো কাটল না তাঁর স্বাধীনতা দিবস। জেলের চার দেওয়ালের ‘পরাধীনতা’র মধ্যেও অবশ্য ‘স্বাধীনতা’র স্বপ্ন বুনতে শুরু করলেন প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব। নিরাপত্তাজনিত কারণে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের দুই নম্বর সেলের বাসিন্দা গতকাল নিজের সেল ব্লকের বাইরে বেরোতে পারেননি। কারণ সুভাষ গার্ডেনের পাশের ক্লাব চত্বরে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কারা দফতরের আইজি ও সচিবও। এই আবহে কোনও বন্দিকেই তাদের সেল থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি গতকাল। তাই ব্যতিক্রম ছিলেন না দীর্ঘদিনের এই বিধায়কও।
আরও পড়ুন: ‘অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে, কেষ্ট গেছে, ভাইপোর সময় আসছে’, তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
এদিকে স্বাধীনতা দিবসে খাদ্যরসিক পার্থর মেন্যুতে ছিল দই-মাছ। সোমবার এমনিতেই জেলের মেন্যুতে মাছের ঝোল থাকে। সেই রেসিপিতে গতকাল যোগ হয়েছিল দই। এদিকে স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় পার্থর যোগব্যয়াম প্রশিক্ষক গতকাল আসেননি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য এসে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে গিয়েছেন। যদিও এদিন পার্থর সঙ্গে আর কারও দেখা করার অনুমতি ছিল না। রাতে ডাল, ভাত ও পাঁচমিশালি সবজি খান প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে এসবের মাঝেই চলেছে তাঁর আইনি লড়াইয়ের মহড়া। সিবিআই, ইডির প্রমাণের ফাঁক বের করে পালটা প্রশ্নমালা তৈরি করেছেন পার্থ। প্রথমে পার্থ খাতা, পেন চাওয়াতে জেল কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল যে তিনি হয়ত ডায়েরি লিখবেন। তবে জানা গিয়েছে, তিনি নিজের আইনজীবী দলের হাত শক্ত করে আইনি পথের নকশা আঁকছেন।