রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের একদা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। সম্প্রতি সরকারি এসএসকেএম থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকরি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেদিন বেশ 'প্রসন্ন' লাগছিল তাঁকে। তবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, হৃরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনুপ খৈতানের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন পার্থ। (আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ থেকে গেল পুণ্যস্নানের সাধ, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত শালবনির বৃদ্ধাও)
আরও পড়ুন: জর্জ সোরোসের ছেলের সঙ্গে বৈঠক ইউনুসের, ঢাকার মাটিতে কী নিয়ে ছক কষা হল?
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে রক্তস্বল্পতা আছে। এই অবস্থায় তাঁর ডায়ালিসিস প্রয়োজন কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিকিৎসকরা আজ পার্থকে দেখবেন। আপাতত পার্থ অক্সিজেন সাপোর্টে আইটিইউ-তে ভরতি আছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর জন্যে গঠিত তিন চিকিৎসকের বোর্ডে আছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সোরেন পাঁজা, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনুপ খৈতান ও নেফ্রোলজিস্ট ডাক্তার প্রতীক দাস। (আরও পড়ুন: কীভাবে হেলিকপ্টারের সাথে ধাক্কা খেয়ে নদীতে ভেঙে পড়ল বিমান? ভাইরাল ATC অডিয়ো)
এর আগে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন পার্থ। সেই অনুমতি দিয়ে দেয় আদালত। আদালতে পার্থ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন না। তাই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসা করাতে চান বলে আর্জি জানান পার্থ। সেই আর্জি গৃহীত হয়। আদালত জানায় যে নিজের খরচে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে পারবেন পার্থ।
এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় তিন বছর জেলে আছেন পার্থ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরবর্তীতে তাঁকে সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে বারবার জামিনের আবেদন করেও আদালত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পার্থকে। তারইমধ্যে দিনকয়েক আগে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিন পাননি পার্থ। ফলে তাঁকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। তারইমধ্যে বিভিন্ন অসুখে ভুগতে থাকেন পার্থ। সম্প্রতি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা-রাতের দিকে তাঁকে এসএসকেএমেরই আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। আর সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে যান পার্থ।