সকালে আদালত চত্বরে দেখিয়েছিলেন রণংদেহী মূর্তি। আর দুপুরে এজলাসে দেখালেন বিনম্র আর্জি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, সোমবার একমাস পর আলিপুর আদালতে তোলা হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন আলিপুর জজ কোর্টে সশরীরে হাজির হন পার্থ। আগে ভার্চুয়াল শুনানি হচ্ছিল। তবে একবার গণ্ডগোল হওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। এদিন পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান তাঁর মক্কেলের জামিনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন। যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কথা রটছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলেও আদালতে দাবি করেন তিনি। যে কোনও কঠিন শর্তে তাঁকে জামিন দিতে বলেন আইনজীবী।
আর কী ঘটেছে আদালতে? এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সশরীরে হাজির হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে হাজির করা হয় শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। সুবীরেশের চোখে জল থাকলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী দেখায়। আদালতে নিয়ে গিয়ে পার্থকে বসানো হয় বেঞ্চে। বাকিদের কাঠগড়ায় তোলা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রমাণের আগেই চোর প্রমাণের তাগিদ দেখা যাচ্ছে বলেও তাঁর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন।
ঠিক কী সওয়াল করেছেন পার্থের আইনজীবী? এদিন আদালত কক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘যে কোনও কঠিন শর্তে জামিন চাইছি আমার মক্কেলের। আমার মক্কেলের পাসপোর্ট জমা রাখা হোক। তাঁকে নিয়মিত মনিটর করা হোক। প্রমাণ হওয়ার আগে তাঁকে যেন চোর না বলা হয়। এটা মানবাধিকারের বিষয়। তাঁকে তো চোর প্রমাণ করা হচ্ছে। তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিন।’
আজ, সোমবার সকালে আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘আপনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি কি সত্যি’? উত্তেজিত হয়ে পার্থ সাংবাদিকদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, ‘চুপ করে থাকুন।’ প্রথমদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি বলেছেন, এই ঘটনার কিছুই জানেন না তিনি। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।