আজ, শুক্রবার সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তিনি যখন শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে দেখে স্লোগান উঠল ‘চোর চোর’। এই ঘটনায় তিনি বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। আদালতের ভিতরে জামিনের জন্য আজও তিনি চোখের জল ফেলেছেন। আলিপুর আদালত থেকে তিনি যখন বেরোচ্ছেন, তখন ওই চত্বর জুড়ে ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। আর তাতেই তিনি বেশ চাপে পড়ে যান।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে আলিপুরে? আলিপুর আদালতে চোর স্লোগান তোলেন দুই আইনজীবী রঞ্জনকুমার মণ্ডল এবং শাহনাজ বেগম। সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দিয়েছিলেন। এই উচ্চস্বরে চোর চোর স্লোগান বেশ অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। যা কানে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রায় ৬০ দিন হতে চলেছে তিনি জেলে আছেন। দু’পক্ষের সওয়াল–জবাবের সময় উঠে দাঁড়ান তিনি। বিচারকের কাছে কাঁদো কাঁদো অসহায় মুখে জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘স্যার আমি খুব অসুস্থ। কে আমাকে সাহায্য করবে? সারা দিন অনেক ওষুধ খাই। বিচারের প্রতি আস্থা রাখছি। আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।’
ওই দু’জন আইনজীবী কেন চোর চোর স্লোগান দিলেন? এই স্লোগান দেওয়া প্রসঙ্গে র়ঞ্জনকুমার মণ্ডল বলেন, ‘অন্য কাউকে নয়, পার্থকে দেখেই আমি চোর বলে চিৎকার করেছি। কারণ চোর! চোরই তো। জালিয়াতি করেছে। শাস্তি হওয়া উচিত। কিছুতেই জামিন পাওয়া উচিত না। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছে।’ আর আইনজীবী শাহনাজ বেগম বলেন, ‘কেন ওঁকে চোর বলা হবে না! কাউকে কাজ দিয়েছেন? আমার আত্মীয়ের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। এখনও সে চাকরি পায়নি।’
উস্লেথ্য, জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরোনোর মুখে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়েছিলেন শুভ্রা ঘোড়ুই নামে এক মহিলা। সেই ঘটনায় বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার শুনলেন চোর চোর স্লোগান। আর আজ আদালতে দাঁড়িয়ে পার্থ বললেন, ‘আমি শিক্ষিত। অর্থনীতিতে স্নাতক। কাকা সাহিত্যিক ছিলেন। আমি ডক্টরেট। অনেক কাজ করেছি। কোনও অপবাদ নেই। প্রাথমিক বোর্ড কিংবা এসএসসি স্বয়ংশাসিত দফতর। তারা প্রার্থীদের বাছাই করত। এখানে আমার ভূমিকা কী? এজেন্সি চক্রান্ত করছে।’ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই বলে সূত্রের খবর।