চিকিৎসকদের প্রশ্নের কোনও উত্তরই দিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ আদালতে তোলার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একাধিক প্রশ্ন করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসকদের কথার কোনও উত্তর না দিয়ে এদিন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইএসআই হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম দুদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধ্বস্ত থাকলে পরে সেই ধাক্কা তিনি সামলে নিয়েছিলেন। এদিন আবার তিনি চুপচাপ থাকেন হাসপাতালে। যদিও পার্থর মধ্যে শারীরিক কোনও সমস্যা দেখতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ইএসআই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে পার্থর শরীরের ওজন কমেছে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম। ১১১ কেজি ওজন ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তা কমে হয়েছে ১০৮ কেজি। রক্তচাপ কিছুটা উঠানামা করলেও ডায়াবেটিস ঠিকঠাকই রয়েছে। ফলে চিকিৎসকরা এদিন পার্থর মধ্যে শারীরিক কোনও সমস্যা খুঁজে পাননি। তবে চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন জবাব দেননি পার্থ। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, চিকিৎসকরা পার্থর একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে চায়ের সঙ্গে দুটি ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট খাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন সকাল থেকে কিছুই মুখে তোলেননি পার্থ। চিকিৎসকদের অনুমান, তিনি মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। সেই কারণে হয়ত মন খারাপ পার্থর। এর ফলে তিনি যাতে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সেদিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। এদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এবং হাসপাতাল থেকে বেরোনোর যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হতো দূরের কথা চেয়েও দেখেননি পার্থ। সব মিলিয়ে তিনি যেভাবে একে একে সব কিছু হারিয়েছেন তার ফলে হতাশা গ্রাস করাটা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন মনবিদরা।