চোখের জল ফেলে জামিন চেয়েও তা মেলেনি। উলটে তাঁর আমলের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে। আদালত কক্ষে পার্থ–কল্যাণময়কে মাথা নীচু করে কথা বলতেও দেখা গিয়েছিল। এখন দু’জনেই সিবিআই হেফাজতে। রাতে ঘুম হচ্ছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার নিজাম প্যালেসেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পার্থ–কল্যাণময়কে।
তদন্তে কী সহযোগিতা করছেন পার্থবাবু? এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসপি সিনহা–কে। এমনকী এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনজনকেই। বাকি দু’জন যদিও বা কিছু বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ। এসএসসি নিয়োগ কে বা কারা নিয়ন্ত্রণ করত? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল পার্থকে। কিন্তু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকছেন তিনি। কিছুই যেন মনে পড়ছে না। এমন ভাব দেখাচ্ছেন তিনি বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
ঠিক কী দাবি পার্থর? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ বারবার দাবি করছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। আর কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। এরপরের প্রশ্ন, তাহলে কারা জানত? তখন তিনি তাকিয়ে ছিলেন শুধু। সূত্রের খবর, টাকার লেনদেন থেকে প্রভাবশালী যোগ নিয়ে পার্থ ও কল্যাণময়কে আলাদা আলাদা করে জেরা করা হয়। কিন্তু পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পার্থ তথ্য গোপন করছেন। আর কল্যাণময় এড়িয়ে গিয়েছেন।
সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস সিবিআইয়ের গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে পার্থ এবং কল্যাণময়কে। সেখানে তাঁদের মধ্যে দেখা হয়নি। কথাও হয়নি। তবে রাতে ঘুমোতে না পেরে পার্থ বাইরে উঁকি মেরেছিলেন। কিন্তু কড়া প্রহরা দেখে আর পা বাড়াননি। সেখানে নিশ্চিন্তে ঘুম দিয়েছেন কল্যাণময়। ঠিক করে খাবারও খাচ্ছেন। সেখানে পার্থের খাওয়া কমে গিয়েছে। ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে।