বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > দুর্নীতি ছড়িয়েছে সর্বত্র, সাংবাদিক বৈঠকে ফের পরিবর্তনের ডাক বাম বুদ্ধিজীবীদের

দুর্নীতি ছড়িয়েছে সর্বত্র, সাংবাদিক বৈঠকে ফের পরিবর্তনের ডাক বাম বুদ্ধিজীবীদের

কলকাতা প্রেস ক্লাবে বাম বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক বৈঠক।

এদিন আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পবিত্রবাবু। বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের প্রলোভিত করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দুর্নীতির শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে। গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এমনকী কলেজ সার্ভিসেও দুর্নীতি হয়েছে। অজস্র দুর্নীতি হয়েছে। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ২টি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি তখন একজোট হয়ে ফের রাজ্যে পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করলেন বামমনস্ক বুদ্ধিজীবীরা। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে বুদ্ধিজীবীদের দলে ছিলেন ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব। ছিলেন চন্দন সেন, মানসী সিনহা, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষও।

এদিন প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রথমে দেখা করেন বাম বুদ্ধিজীবীরা। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে পবিত্রবাবু বলেন, ‘ইডি এবং সিবিআইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু, এদের সম্পর্কে কখনও কখনও আমাদের একটু নার্ভাস লাগে। তখন বুঝতে পারি যে সেটিং হয়ে গিয়েছে। আসল অপরাধীদের এড়িয়ে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বও যে ব্যাপারটা ঘটেছে, যতটুকু উন্মোচন হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই আদালত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অভিনন্দন জানাই। তারা সত্যের একটি আংশিক চেহারা আমাদের সামনে উন্মোচন করেছে'। পবিত্রবাবুর সংযোজন, 'লড়াইটা এখনও অনেক বাকি। এখানে কোনও ব্যক্তি কিংবা চরিত্রের ব্যাপার নয়। একটি প্রশাসন, একটি দল এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যারা গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবাংলাকে শাসন করছে। তাদের মজ্জায় মজ্জায় দুর্নীতির ঘুণ ধরে গিয়েছে। সেটা সকলের কাছে স্পষ্ট। ’

এদিন আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পবিত্রবাবু। বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের প্রলোভিত করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দুর্নীতির শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে। গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এমনকী কলেজ সার্ভিসেও দুর্নীতি হয়েছে। অজস্র দুর্নীতি হয়েছে। তবে এই দুর্নীতি কেবল শিক্ষাক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, দমকল কর্মী নিয়োগ, খাদ্য সরবরাহ কর্মী নিয়োগেও কাটমানি, তোলাবাজি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে এর একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এটা কোনও একজন লোকের কাজ নয়। অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতি হচ্ছে।’

এদিন একই অভিযোগ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কয়েকজনকে আন্দোলনকারীদের নেতা সাজিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে ডেকে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নাগরিক ও সুশীল সমাজের একাংশকে দায়ী করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘নাগরিক ও শিক্ষিত সমাজের একাংশ এতদিন নীরব ছিলেন বলেই দুর্নীতি এত বাড়তে পেরেছে।’ সঙ্গে তার অভিযোগ, ‘আসল ষড়যন্ত্র করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।’

 

বন্ধ করুন