জেল হেফাজত শেষে আজ, সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আনা হলো আলিপুর আদালতে। কিছুদিন আগে তাঁর হাতে আংটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। জেল হেফাজতে থাকাকালীন আংটি কেমন করে এল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আজ, সোমবার আবার আদালতে তোলা হয় পার্থবাবুকে। আর আদালতে ঢোকার সময় তিনি হাত নেড়ে দেখিয়ে দিলেন আগের আংটি আর নেই। একইসঙ্গে এদিন আদালতের ভিতরে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর নতুন কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ জন্য শুভেচ্ছা জানান পার্থ।
ঠিক কী বলেছেন পার্থ? মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জনসংযোগ যাত্রা করতে চলেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেকের সেই কর্মসূচি যাতে সাফল্য পায় তার জন্য আজ শুভেচ্ছা জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর বলেন, ‘অভিষেক আমাদের ড্রাইভিং ফোর্সের নেতা। আমরা গাইডিং ফোর্সের নেতা।’ আর এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পার্থকে দলের সব পদ থেকে এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও তিনি নিজেকে গাইডিং ফোর্সের নেতা বলছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু হাতের আংটি খুললেন কেন? আজ আদালতে ঢোকার সময় আঙুল নেড়ে দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বোঝাতে চাইলেন তিনি আংটি–ঘড়ি খুলে ফেলেছেন। আর আজ তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের সামনে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন,‘ওটা অলঙ্কার ছিল না। ধর্মচারনের অংশ ছিল। আমি ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলে।’ তবে বিতর্ক দেখা দিতে আগের দিন আদালতেই তা খুলে ফেলা হয়েছিল। শুনানিতে আজ সবার নজর ছিল পার্থবাবুর হাতের দিকেই। এদিন অবশ্য আংটি খুলে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেটা নেড়ে দেখিয়েও দেন তিনি।
আর কী ঘটল আদালতে? আগামী ২৬ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ পার্থর দাবি অনুযায়ী, তাঁকে আংটি খুলে ফেলার কথা কেউ বলেননি। আর তিনি নিজেও জানতেন না। আপাতত আংটি রহস্যের সমাধান হলেও এখনও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন। হঠাৎ এমন মন্তব্য নিয়ে আদালতে হাসির রোল ওঠে। তখন চুপ করে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup