১৪ দিনের ইডি হেফাজত শেষে শুক্রবার থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঠিকানা হয়েছে জেল। আর জেলে বাকি সমস্যার মধ্যে সব থেকে প্রধান হয়ে উঠেছে খাবার। খাদ্যরসিক পার্থবাবুর জেলের খাবার মুখে রুচছে না। তার ওপর জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে দিচ্ছে ডায়াবেটিক পদ। জেলজীবনের চতুর্থ দিনে অবশেষে কাটল সেই এক ঘেয়েমি। সোমবার জেলের ক্যান্টিন থেকে চপ – বেগুনি আনিয়ে দেদার খেলেন পার্থবাবু।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে প্রেসিডেন্সি জেলে চপ ও তেলেভাজা খেয়েছেন পার্থ। এদিন দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ ভাত, ডাল, সবজি খান পার্থবাবু। এর পর ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে তেলেভাজা খাওয়ার বায়না ধরেন তিনি। কিন্তু জেলের চিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে বিরত করার চেষ্টা করেন। চেষ্টাই সার। নিজের জেদে অনড় থাকেন পার্থবাবু। শেষে তাঁকে জেলের ক্যান্টিন থেকে কয়েকটি আলুর চপ ও বেগুনি এনে দেন আধিকারিকরা। তৃপ্তি করে সেগুলি খান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জেলসূত্রে খবর, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে জেলের চিকিৎসকদের কথা একেবারেই শুনছেন না পার্থবাবু। চিকিৎসকরা তাঁকে ভাত খেতে বারণ করলেও রোজ ২ বেলা ভাত খাচ্ছেন তিনি। এদিন তেলেভাজা খেতে বারণ করলেও শোনেননি তিনি।
প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বরাবরই বেপরোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতিতে যোগদানের আগে থেকেই তাঁর খাওয়ার বহর ছিল দেখার মতো। রাজনীতিতে প্রবেশের পর যা আরও বাড়ে। যার ফলে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রবল পরিশ্রম করতে হলেও ক্রমশ ওজন বাড়তে থাকে তার। যা ১০০ কেজি ছাড়িয়ে যায়। ইডি হেফাজতে যদিও কয়েক কেজি ওজন কমেছে তার। কারাজীবনের কড়াকড়িতে তাঁর স্বাস্থ্যোদ্ধার হয় কি না এবার সেটাই দেখার।