গতকালই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ প্রায় ২৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। গ্রেফতারির পর পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পেশ করা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক পার্থকে দুই দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও পার্থ জানান, তাঁর শরীর ভালো নেই। হাসপাতালে ভরতি হতে চান তিনি। এই আবহে গতরাতে এসএসকেএম-এর ভরতি করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। আজ সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পার্থবাবুর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কার্ডিওলজির আইসিইউ ১৮ নম্বর বেডে ভরতি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে এসি-১ কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন ছয়জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। তাতে রয়েছে হৃদরোগ, ফুসফুস, হাঁড়, স্নায়ুরোগ, মেডিসিন ও অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি বিশেষজ্ঞ। সূত্রের খবর, সেই মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন কার্ডিয়োলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরীরা।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতিতে পার্থের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে ইডি। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে ইডির তরফে জানানো হয়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পার্থের কাছে অর্পিতার যোগ থাকা সম্পত্তির কয়েকটি ফোটোকপি পাওয়া গিয়েছে। দু'জনের কল রেকর্ডও হাতে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দেননি পার্থ। এই আবহে পার্থবাবুকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে ইডি। তবে এখনও হাসপাতালের তরফে জানানাো হয়নি যে পার্থবাবুকে ছাড়া হবে কি না।