দীর্ঘদিন জামিন মেলেনি। জেলে শুনতে হয়েছে নানা কটূক্তি। খবরের কাগজে চোখ রাখতেই তাঁর সম্পর্কে নানা খবর পড়তে হয়েছে। একের পর এক উৎসব কেটেছে শ্রীঘরে। তাই মাথা গরম রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাই এবার তিনি সাংবাদিকদের ধমক দিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করতেই ধমকেই চুপ করিয়ে দিলেন তিনি। আজ, সোমবার আলিপুর আদালতের সামনে এমন রণংদেহী মেজাজেই দেখা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
ঠিক কী ঘটেছে আলিপুর আদালত চত্ত্বরে? ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে জটিলতার পর সিবিআইয়ের মামলায় সোমবার আদালতে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ কি সত্যি? জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে ধমকে বলেন, ‘চুপ করে থাকুন!’ এই প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন তিনি।
কেন সশরীরে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারের পর প্রথমে কয়েকবার সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন তিনি। কিন্তু পার্থের নিরাপত্তার কথা ভেবে শুনানি হতো ভার্চুয়াল মাধ্যমে। গত শুক্রবার ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে হঠাৎই জটিলতা দেখা দেওয়ায় মামলাটি পিছিয়ে যায়। তখনই আদালত প্রাক্তন মন্ত্রীকে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দেয়। তাই আজ, সোমবার আদালতে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
কেন মেজাজ হারালেন পার্থ? সূত্রের খবর, পার্থ–অর্পিতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে কেচ্ছা–কেলেঙ্কারির খবর বেরিয়েছে তা তিনি দেখেছেন। এখন দলের পদ, মন্ত্রিত্ব সবই খোয়া গিয়েছে। দল সেভাবে পাশে দাঁড়াচ্ছে না। বরং তিনিই দলের বিড়ম্বনার কারণ বলে প্রচার করা হচ্ছে। একের পর এক নেতা–মন্ত্রী তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। নানা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে চলে আসে। তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিরোধীরাও আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। এই সব মিলিয়ে আর নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।