পার্থ-অর্পিতার দুর্নীতিকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য। এবার পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের অন্তত ৩১টি জীবনবিমার সন্ধান পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর সেই জীবনবিমার সূত্র ধরেই ইডির হাতে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর অর্পিতার জীবনবিমার প্রিমিয়ামে এসএমএস আসত পার্থর মোবাইলে। আর এটা থেকেই অনেকটাই সামনে আসছে যে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ কোন পর্যায়ে ছিল।
সূত্রের খবর, জেরা করার সময় পার্থ আগেই জানিয়েছিলেন তিনি অর্পিতাকে সেভাবে চেনেন না। নাকতলার পুজোতে দেখেছিলেন। এখানেই প্রশ্ন যে অর্পিতাকে মাঝেমধ্য়ে দেখেছিলেন তাঁর জীবনবিমার প্রিমিয়ামের মেসেজ আসত প্রাক্তন মন্ত্রীর মোবাইলে? ইডির দাবি, পার্থর মোবাইল নম্বর দিয়ে জীবনবিমাগুলি খোলা হয়েছিল। সেকারণেই তার মোবাইলে এসএমএস আসত। তবে পার্থর আইনজীবীদের পালটা দাবি, কেউ নমিনি থাকলে তার কাছে কেন জীবনবিমার এসএমএস আসবে?
তবে ধাপে ধাপে প্রকাশ্যে আসছে, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রীর একেবারে সবরকম যোগাযোগ রয়েছে। তবে ইতিমধ্য়েই তার আইনজীবীরা অবশ্য এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু এত বিপুল টাকা খরচ করা হত কোথায়? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে এক ট্রাস্ট খোলা হয়েছিল। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশানাল স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার মাধ্যমেও কালো টাকা সাদা করার ছক কষা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই ইডির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে , এর আগে সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছিল। তবে এবার আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে।