এই তো ক’টা দিন আগেও তাঁর নামে বাঘে - গরুতে এক ঘাটে জল খেত। শাসকদলের মহাসচিব ও সরকারের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলে কথা! সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষকাল ধরে ঠিকানা জেলের কুঠুরি। কিন্তু জেলবন্দি হলেও তেজ একটুও কমেনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। বরং, জেলে রীতিমতো আগের মেজাজেই গর্জন করছেন তিনি। আদালতে অন্তত এমনটাই দাবি করেছে ইডি। বৃহস্পতিবার পার্থকে আদালতে পেশ করে ইডির আইনজীবী বলেন, জেলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জবানবন্দির নথি ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন পার্থ।
জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার পার্থ ও অর্পিতাকে আদালতে পেশ করে ইডি। সেখানেই ইডির আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থবাবু। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকার উৎস কী জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। অর্পিতার জীবনবিমার প্রিমিয়ামের নোটিফিকেশন কী করে তাঁর ফোনে গেল তা জানতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু এব্যাপারেও কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নথিভুক্ত বয়ান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে সই করাতে এগিয়ে যান ইডির এক আধিকারিক। তখন সেই নথি কেড়ে ছিঁড়ে ফেলেন পার্থ।
১৭ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে পালটা বেআইনি সম্পত্তির জনস্বার্থ মামলা হল হাইকোর্টে
বৃহস্পতিবার ইডি আদালতে দাবি করেছে, পার্থর নামে ৬০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৩০টি ভুয়ো কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এমনকী উত্তর ২৪ পরগনায় পার্থ ও অর্পিতার যৌথ মালিকানায় একটি পিকনিক স্পটের সন্ধান মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে স্ত্রীর বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে স্কুল খোলার নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে দাবি ইডির।
এসব শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।