পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে একের পর এক নতুন তথ্য পাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগে উঠে এসেছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। তাঁকে নিয়ে নানা তথ্য উঠে এসেছিল। টাকার পাহাড় থেকে সন্তান চাওয়ার শংসাপত্র—নথি পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার পেয়েছেন আরও এক নারীর নাম। যাঁর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা পার্থ–অর্পিতাকে গ্রেফতারের পর তাঁদের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেটা নিয়ে তদন্ত করতেই উঠে এল আর এক নারীর যোগ।
ঠিক কী জানিয়েছে ইডি? ইডি আদালতে যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোন তাঁর নামেই ছিল না। যেমন বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়নি। এই ফোন নম্বর অর্থাৎ সিম কার্ড ছিল জ্যোতি খান্ডেলওয়াল বলে এক মহিলার নামে। নিয়ম রয়েছে, প্রি–পেইড বা পোস্ট পেইড মোবাইল নম্বর নিতে গেলে গ্রাহককে তাঁর আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হয়। গ্রাহকের কেওয়াইসি জানতে চায় নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার। সেটা পরীক্ষা করেই ইডি কর্তারা দেখেন, ফোনের নম্বর তথা সিমটি পার্থর নামেই নেই। সেটি রয়েছে জ্যোতি খান্ডেলওয়ালের নামে।
কে এই জ্যোতি খান্ডেলওয়াল? ইডি–কে জেরায় পার্থ জানান, তিনি ওই মহিলাকে চেনেন না। ওই মহিলা সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার কেউ হবে। নাকতলার কাছে আনন্দ আশ্রম এলাকার একটি আউটলেট থেকে ওই নম্বর তিনি নিয়েছেন। আর ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, পার্থ সচেতনভাবেই জ্যোতি খান্ডেলওয়ালের নামে ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন এবং সিম নিয়েছেন। তাহলে কী আরও এক নারীর সংস্পর্শে এসেছিলেন পার্থ? উঠছে প্রশ্ন। এই নম্বর থেকে পার্থ সবার সঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। প্রক্সি নম্বর ব্যবহার করা হতো যাতে ধরা না পড়েন।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, পার্থর এই প্রক্সি নম্বরেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িতদের একাধিক মেসেজ রয়েছে। এমনকী সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের মেসেজও রয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও প্রচুর হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ রয়েছে। এই নম্বর থেকে আবার পার্থ মেসেজের জবাব দিয়েছেন। ইদানীং অনেক রাজনীতিক প্রক্সি নম্বর ব্যবহার করেন। কারণ, তাঁদের ফোন ট্যাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও তাই করেছিলেন।