বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Partha-Arpita: পুরসভা নির্বাচনে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন পার্থ, প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য

Partha-Arpita: পুরসভা নির্বাচনে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন পার্থ, প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য

পাশাপাশি অর্পিতা ও পার্থ। ফাইল ছবি

সূত্রের খবর, নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোয় অর্পিতার সঙ্গে আলাপ হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পরিচয় হয়েছিল আরও আগে। তখন একটি বিপণিতে যেতেন পার্থবাবু। সেখানে অর্পিতা কাউন্টার সেলস গার্লের কাজ করতেন। আর সেখানে দেখেই অর্পিতাকে ভাল লাগে পার্থের।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কতটা কাছের ছিলেন পার্থের?‌ এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ইডির চার্জশিটে যা তথ্য উঠে এসেছে তার বাইরেও এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে চলে এল। শুধু অভিনয় করে ১০৩ কোটি টাকার মালকিন তিনি হননি সেটা এখন স্পষ্ট। যদিও এখন রাজসাক্ষী হয়ে পার্থের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান এই গ্ল্যামার কুইন। পার্থের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে অর্পিতা মুখোপাধ‌্যায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার রাস্তা পাকা করে ফেলে ছিলেন। তাই গত পুরসভা নির্বাচনে অর্পিতা মুখোপাধ‌্যায়কে কামারহাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। যদিও শেষমেশ হয়নি।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল?‌ অর্পিতা এতটাই পার্থের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল যে, তাঁকে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন তৃণমূল কংগ্রেসেরই উত্তর ২৪ পরগনার নেতৃত্বের বাধায় পার্থর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতারা পার্থকে প্রশ্ন করেছিলেন, অর্পিতা মুখোপাধ‌্যায় কে? দলের সঙ্গে কী সম্পর্ক তাঁর? আর গোটা বিষয়টি আটকে যায় বিধায়ক মদন মিত্র এবং গোপাল সাহার আপত্তিতে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যাঁকে কেউ চেনেনই না তাঁকে প্রার্থী করা হবে কেন?‌ পার্থ এত তদ্বির করছেন কেন? তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব হয়েও অর্পিতাকে প্রার্থী করতে পারেননি তিনি। যা এখন চর্চিত হচ্ছে।

কী পরিকল্পনা ছিল পার্থর?‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা বলেন, ‘‌পুরসভা নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে পারলে অর্পিতা দলের একজন হয়ে যেতেন। তারপর তাঁকে নিয়েই রাজ্যে চষে বেড়ানো যেত। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অর্পিতার মা থাকতেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা অর্পিতাকে চিনতেন না। তাই এই প্রস্তাবে সায় দেননি কেউ। জনপ্রতিনিধি করে বিপুল পরিমাণ টাকা বাঁচানোর কৌশল ছিল বলে এখন মনে হচ্ছে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোয় অর্পিতার সঙ্গে আলাপ হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পরিচয় হয়েছিল আরও আগে। তখন একটি বিপণিতে যেতেন পার্থবাবু। সেখানে অর্পিতা কাউন্টার সেলস গার্লের কাজ করতেন। আর সেখানে দেখেই অর্পিতাকে ভাল লাগে পার্থের। তারপর নাম জিজ্ঞাসা করা থেকে শুরু করে সম্পর্ক এগিয়ে চলে। আদান–প্রদান হয় ফোন নম্বর। তারপরই দুর্গাপুজোয় পার্থ আমন্ত্রণ করে অর্পিতাকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই নাকতলা উদয়ন সংঘে এসেছিলেন অর্পিতা। নিউ বারাকপুরের একটি রেস্তোরাঁয় নিয়মিত যেতেন পার্থ–অর্পিতা।

বন্ধ করুন