একুশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্র–রাজ্য বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কখনও বলা হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা হবে, কখনও সেইল–কে কলকাতা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। আবার কখনও টি–বোর্ড থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রুল সংস্থাকে স্থানান্তর করার কথা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগে একের পর এক চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এবার অ্যান্ড্রুল সংস্থা কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রীকে একটি কড়া চিঠি দেন। সেখানে মূলত অ্যান্ড্রুলের শাখা বাংলা থেকে তুলে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আসলে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী–শ্রমিকদের জীবন–জীবিকার উপর আঘাত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী জলপাইগুড়ির একটি টি–অকশন সেন্টারও অসমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জেনেছেন পার্থবাবু। তারও বিরোধিতা করা হয়েছে চিঠিতে।
এই বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘অ্যান্ড্রুল কলকাতার শাখা তুলে দেওয়া এবং বিক্রির যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে তা কর্মীদের নিধন করার প্রয়াস। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জন্য চিঠি দিয়েছি। ঠিক একইভাবে জলপাইগুড়ির টি–অকশন কেন্দ্র স্থানান্তর করার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন মিনিস্ট্রি অফ কমার্স, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রুল একটি শিল্প সংস্থা। এই সংস্থার ৯৭ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে ভারত সরকারের হাতে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, চা এবং প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থা ১৯৪৮ সালে স্থাপিত। এখানের কলকাতা শাখায় এক সময়ে কর্মরত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নিজেই। সেই সংস্থাকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন তিনি। বারবার বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুঞ্জনও শোনা গিয়েছে।