সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলির ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে এই মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবারই ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন পার্থ। তাকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জামিন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন এখনও বিচারাধীন।
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত।’ কিন্তু কেন মর্মাহত ফিরহাদ। তবে কি জেলমুক্তি আসন্ন বুঝে পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল?
২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতারির পর পার্থকে দল থেকে সাসপেন্ড করতে ৭ দিন নিয়েছিল তৃণমূল। ওই রাতেই পার্থর বন্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ১৮ কোটি টাকা ও প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। দিন পনেরো বাদে অর্পিতার বরাহনগরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আরও টাকা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ পৌঁছয় প্রায় ৫০ কোটিতে।
গ্রেফতারির পর থেকেই পার্থকে নিয়ে সতর্ক তৃণমূল। গ্রেফতারির সময় তৃণমূলের মহাসচিব ও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান ছিলেন পার্থ। এছাড়া রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে জেল থেকে মুক্তি পেলেও তৃণমূলে পার্থর পুনর্বাসন যে সম্ভব নয় সেই বার্তা দিতেই কড়া বিবৃতি দিচ্ছেন দলের নেতা - মন্ত্রীরা। বিজেপির মতে, খাতায় কলমে পার্থ যদি তৃণমূলে পুনর্বাসন না-ও পান তাহলেও তিনি যাতে রসে বশে থাকেন সেই ব্যবস্থা নিশ্চয়ই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।