আজকে সকালেই ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিতারপতি হরিশ টন্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। সেই মামলা এবার গ্রহণ করল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচ না পাওয়ার পর সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সন্ধ্যা ছ’টার আগেই নিজাম প্যালেসে যান পার্থবাবু। এরপর দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জেরা করা হয়।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থবাবু। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানোর পদ্ধতি মানেননি রাজ্যের মন্ত্রী। মামলা দায়ের না করেই ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ। এর জেরে পার্থর আবেদন শোনেনি ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, পার্থবাবু প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যেতে পারেন। সেই মতো দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে আর্জিতে পার্থের তরফে জানানো হয়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সিবিআইযের দফতরে হাজিরা দিতে প্রস্তুত। গ্রেফতারির মতো পদক্ষেপ যাতে করা না হয়, সেজন্য রক্ষাকবচের আর্জি জানানো হয়েছিল।