প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্য়ের ২৮ হাজারেরও বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দফতর। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে এগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতর অভিযান চালিয়েছিল। এরপরই মধ্যমগ্রাম থেকে দুজনকে তারা আটক করে। তাদের কাছ থেকেই ২৮ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এরপর অপর একটি এলাকা থেকে অন্যএকজনকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে আরও ৮ হাজার ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া ট্য়াবলেটের দাম প্রায় ২ কোটি টাকা। এনডিপিএস অ্যাক্ট ১৯৮৫ অনুসারে এগুলি নিষিদ্ধ মাদক। এই ধরনের মাদক খেলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
এবার দেখা যাক কী দিয়ে তৈরি হয় এই ইয়াবা ট্যাবলেট? মেথঅ্যাম্ফিাটামাইন ও ক্যাফাইন দিয়ে তৈরি হয় এই ট্যাবলেট। সাধারণত মায়ানমারে এগুলি তৈরি হয়। এরপর চোরাপথে তা বাংলাদেশে ঢোকে। ২০০০ সাল নাগাদ এটি বাংলাদেশে ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি এটি অন্যান্য মাদকের চেয়ে সস্তা হওয়ার জন্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এদিকে এর আগেও এনিয়ে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক দফতর। চলতি বছরের অগস্ট মাসে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মালদা থেকে বাজেয়াপ্ত হয় এই হেরোইন। এদিকে ২০১৯ সাল থেকে গরু পাচারের বিরুদ্ধে বিএসএফের নজরদারি বাড়তেই ইয়াবা ট্যাবলেটের পাচারের বিষয়টিও নজরে আসতে থাকে।