মুকুল রায় নাকি বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তিনি আপাতত দিল্লিতে। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপিতেই থাকতে চান। এদিকে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৃণমূল নেতারাও কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন। তিনি কখন পালটি খাবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এবার মুকুল ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন মদন মিত্র। তার সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল নিয়ে মুখ খোলার জন্য দল যদি তাকে শোকজ করে তবে তাতেও তিনি রাজি।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বুধবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন,মুকুলকে নেওয়ার সময় মনে হচ্ছিল দিল্লিতে বিজেপির সিংহাসন দখল হয়েছে। গত বছর ২১শে জুলাই মমতা অভিষেকের পাশেই মুকুলের চেয়ার ছিল। বিজেপিতে চলে গিয়ে সব খবর দিয়ে তারপর পাগল সেজে এলে মঞ্চে জায়গা হয়ে যাবে? কেউ আসছে যাচ্ছে, দলটা রেস্তরাঁ হয়ে গিয়েছে। সবাই তো এবার মুকুলের পথে হাঁটবে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এটা শুভেন্দু অধিকারীর গেম প্ল্য়ান। মুকুলকে দিয়ে কিছু নাম বলানো হবে যাতে মানুষ বিশ্বাস করেন। সেই জন্যই মুুকুল রায়কে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুকুলকে নিয়ে একেবারে বিস্ফোরক মদন মিত্র। তিনি বলেন,মুকুলকে কেনই বা নিয়ে আসা হল, কেন এত মুকুল মুকুল হচ্ছে! এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন এই কথার জন্য দল তাঁকে শোকজ করলেও তিনি তৈরি রয়েছেন।
এদিকে মদন মিত্রের এই বক্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে মুকুল রায়ের এই অবস্থানকে ঘিরে দলের অনেকেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবার জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুল বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এর আগে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন মুকুল। সেটা তবে কী ছিল?
এদিকে মুকুল রায় এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিজেপিতে ছিলাম, আছি থাকব। নিকট আত্মীয়র বিয়োগের জন্য কয়েক ঘণ্টার জন্য এসব হয়েছিল। এখন সব ঠিক আছে। তিনি বলেন তৃণমূল আর সেই জায়গায় নেই। এ জেলে, ও জেলে। এগুলি ঠিক নয়। প্রত্যেকে অ্য়াডাল্ট লোক। প্রাপ্ত বয়স্কদের দায়িত্ব কে নেবে! লড়াই যখন করব তখন তো পরিবর্তন চাইবই। বাংলায় একটা অসহনীয় অবস্থায় রয়েছে। আজ আমি পুরো ফিট। কৈলাশজীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, পারছি না।