একুশের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের আরও বেশি করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটযুদ্ধে পুরোদমে নামার আগে দলীয় নেতারা যাতে জনসংযোগ ঠিকভাবে রক্ষা করে চলেন, এদিনের সভা থেকে সেই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন ধর্মতলায় সভামঞ্চ থেকে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘আমি চাই, আমাদের কর্মীরা সাইকেল নিয়ে ঘুরুন। আমার বিধায়করা পায়ে হেঁটে গ্রামে ঘুরবেন। সাংসদরা দরকার হলে রিক্সায় চেপে ঘুরুন। আমি দেখতে চাই, আমার দলের কর্মীরা চায়ের দোকানে বসে চা খাবেন। কিন্তু চায়ের দোকানের পয়সায় চা–টা খাবেন না। ওরাও গরিব লোক।’ এরপরই একুশের জুলাইয়ের সভার নাম করে চাঁদা তোলার প্রসঙ্গও তোলেন তৃণমূল নেত্রী।
দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘কারও কাছে চাঁদা তুলবেন না। আমার কাছে দুটো অভিযোগ এসেছে। যদি কেউ দলের নাম করে টাকা তোলে তাহলে আপনারাই তাঁকে ধরে জেলে ভরে দেবেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘যদি আমার কর্মী না খেতে পান, খবরটা আমার কাছে পৌঁছে দেবেন। আমি একটা সিস্টেম করে দেব। আমার দু–তিন মাস লাগবে। আমাকে ডায়রেক্ট বলতে পারবেন।’ তিনি জানান, ‘বিত্তবান বড় নয়। বিবেকবান বড়। আমি চাই, ভারতে একটাই আদর্শ রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।’
এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় শৃঙ্খলার কথা তুলে ধরেছিলেন। দলীয় নেতা–কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে অভিষেকও জানিয়ে দেন, তৃণমূল কারও করে খাওয়ার জায়গা নয়। সকলকে দলীয় অনুশাসন মনে চলতে হবে। তৃণমূল নেত্রীর আদর্শ মেনে চলতে হবে। যারা তৃণমূল করছেন, তাঁদের নির্লোভ, নির্ভীক হতে হবে।