বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Balasore rail accident: ‘ভেবেছিলাম বাঁচব না’, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মুখে

Balasore rail accident: ‘ভেবেছিলাম বাঁচব না’, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মুখে

হাওড়া স্টেশনে নামছেন আহত যাত্রীরা। নিজস্ব ছবি

দুর্ঘটনার মুখে পড়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দু’টি কামরা। আহত হন সেই ট্রেনের বহু যাত্রী। তার পর থেকেই সেই ট্রেনের যাত্রীরা বালেশ্বর স্টেশনে আটকে ছিলেন। হাওড়ায় পৌঁছে এক যাত্রী জানান, ‘আচমকা ট্রেনের আপার বার্থ আমার মাথার উপর ভেঙে পড়ে। আমার মাথা ফেটে যায়। আরও অনেকেই আহত হয়েছিল। 

ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার পর হাওড়া–যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের আহত যাত্রীদের নিয়ে স্পেশাল ট্রেন হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছাল। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ট্রেন হাওড়ায় পৌঁছয়। যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। একে একে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসেন। আহতদের জন্য আগে থেকেই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা ছিল। এছাড়া স্টেশনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্টেশনে পৌঁছতেই যাত্রীদের হাতে পানীয় জল, খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।স্টেশনে নেমে এদিন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীরা। কোনওভাবে বেঁচে ফেরায় তাঁরা খুশি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। দুমড়ে মুচড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরাগুলি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার মুখে পড়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দু’টি কামরা। আহত হন সেই ট্রেনের বহু যাত্রী। তার পর থেকেই সেই ট্রেনের যাত্রীরা বালেশ্বর স্টেশনে আটকে ছিলেন। হাওড়ায় পৌঁছে এক যাত্রী জানান, ‘আচমকা ট্রেনের আপার বার্থ আমার মাথার উপর ভেঙে পড়ে। আমার মাথা ফেটে যায়। আরও অনেকেই আহত হয়েছিল। চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। ভেবেছিলাম আর বেঁচে ফিরব না। তবে কোনওভাবে ট্রেন থেকে বের হতে পেরেছি। ওড়িশা সরকার আমাদের সমস্ত রকমের সাহায্য করেছে।’ নদিয়ার পলাশীর বাসিন্দা শহিদুল শেখ নামে অন্য এক যাত্রী জানান, তিনি আপার বার্থে বসে ছিলেন। আচমকা ঝাঁকুনি দিয়ে সিট থেকে পড়ে যান তিনি। বি ৪ কোচে ছিলেন ওই যাত্রী। কোনওভাবে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেনের দরজা দিয়ে বাইরে বের হন। এরপরে তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে হাওড়া পাঠানো হয়। কেরলে তিনি কার্পেন্টারের কাজ করেন বলে জানান। ওই ট্রেনে করে বিহার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন সঞ্জয় লাল নামে এক যাত্রী। তিনি লোডম্যানের কাজ করেন। তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে কোনওভাবে সেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমরা লোয়ার বার্থে বসেছিলাম। তখন আমাদের মাথায় এসে পড়ে আপার বার্থ। অনেকের মাথা ফেটে যায়। চারিদিকে শুধু রক্ত। কী করবো কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কোনওভাবে কামরা থেকে আমরা বেরিয়ে আসি। ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ যে আমরা বেঁচে ফিরেছি।’ উল্লেখ্য, এদিন হাওড়া স্টেশনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল রাখা হয়। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স সহ আরও বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন