করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। রাজ্যবাসী কাবু হয়ে পড়ছেন এই সংক্রমণের দাপটে। এই পরিস্থিতি দেখে বিধি জারি করেছে কলকাতা মেট্রো রেল। এখন টোকেন বন্ধ করে স্মার্টকার্ডে ভরসা রাখা হয়েছে। আর তাতেই যাত্রী সংখ্যায় ভাটা পড়ল কলকাতা মেট্রোতে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। শেষ মেট্রোর সময়সীমা কমানো থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমেই মেট্রো রেলের সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহের তুলনায় নর্থ–সাউথ করিডরে যাত্রীসংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমেছে বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
কতটা কমেছে যাত্রী সংখ্যা? মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সোমবার নিয়ন্ত্রিতভাবে মেট্রো সফর করেছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৮ জন যাত্রী। আগের সোমবার অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ জন। গত মঙ্গলবার যাত্রী সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৪৯ জন। তার আগের মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন যাত্রী হয়েছিল। সুতরাং ক্রমাগত কমে যাচ্ছে যাত্রী সংখ্যা।
এই যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় আয়ও কমছে বলে খবর। আবার টোকেন উঠে যাওয়ায় সরাসরি আয় ফের তলানিতে এসে ঠেকেছে কলকাতা মেট্রোয়। এই পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এখন এই আয় কমে যাওয়ায় বিকল্প ভাবনা শুরু হয়েছে। রোজই যাত্রী সংখ্যা কমছে বলে দাবি করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এখন সরকারি–বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাবার বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে মেট্রো রেলে। এই পরিস্থিতিতে জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশীর নেতৃত্বে গোটা টিম বিকল্প আয়ের সন্ধান পেয়েছে। যার মধ্যে স্টেশন ব্র্যান্ডিং, কার্ড ব্যালান্স চেকিং মেশিন, এএফসি গেট, স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন, স্মার্ট কার্ড–সহ বিবিধ সামগ্রী বিপণন খাতে ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করেছে মেট্রো। গত ডিসেম্বর মাসে এভাবে একাধিক চুক্তি করে ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো।