কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু থাকায় হাওড়া–শিয়ালদহ দুই শাখাতেই ব্যাপক ভিড় হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ স্টাফ স্পেশালে ভিড়ের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যার জেরে নিজেদের কর্মীদের সুরক্ষিত রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলের পক্ষ থেকে রাজ্যকে লোকাল ট্রেন চালুর আবেদন জানানো হয়েছে।
এখন লোকাল ট্রেন না চললেও স্টাফ স্পেশাল চলছে দুই শাখায়। সেখানে সাধারণ যাত্রীরাও টিকিট কেটে অবলীলায় উঠতে পারছেন। কিন্তু সরকারিভাবে ‘লোকাল ট্রেন চলছে না’। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ স্টাফ স্পেশালের উপর যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে লোকাল ট্রেন না চালিয়ে আর কী হবে? কারণ এখনই সম্ভব হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ববিধি মানা। তাই তৃতীয় ঢেউয়ে নিয়ে চিন্তিত রেল আধিকারিকরা।
পরিস্থিতি বিচার করে স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীসংখ্যার সম পরিমাণ ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রাজ্য সরকারের অনুমতি নেই। সকালে বা সন্ধ্যার দিকে বাড়তি ট্রেন চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায় যাত্রী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে।
স্টাফ স্পেশাল চালুই করা হয়েছিল রেল কর্মীদের যাতায়াতের জন্য। তার সঙ্গে যোগ হয় জরুরি পরিষেবায় যুক্ত মানুষজন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষ এই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠে পড়েছেন। তাতে ভিড় বাড়ছে। এমনকী নতুন করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে পূর্ব রেল। সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্তেই অনড় থাকতে পারে রাজ্য সরকার।