দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন। অস্থির সমস্যার সমাধানে ধরেই নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার ছাড়া ভাল হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তার জন্য কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করার প্রয়োজন। এত পরিমাণ টাকা ছিল না রোগীর কাছে। এই অবস্থায় মাত্র দু টাকা খরচেই রোগীকে সরিয়ে তুলল এসএসকেএম হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ। এরপর থেকে সুস্থ রয়েছেন হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা যমুনা দাস। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আব্লেশন (আর) পদ্ধতির প্রয়োগ করে সারিয়ে তোলা হয়েছে ওই গৃহবধূকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে প্রথম নয়, সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে এই প্রথম এই পদ্ধতির প্রয়োগ হল।
ওই রোগী জানান, তার কোমরে সমস্যা রয়েছে প্রায় ৫৬ বছর ধরে। কোনও কাজ করতে পারেন না। ভারী কিছু বহন করতে পারেন নাম তিনি লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এই অবস্থায় অসহ্য ব্যথার কারণে তাকে সেই কাজ ছেড়ে দিতে হয়। এরপর বহু জায়গায় তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু প্রচুর অর্থ খরচ হয়ে যাওয়ার পরে সুস্থ হননি। শেষে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বারস্থ হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই রোগীর মেরুদন্ডের এল ৪ এবং এল ৫ ইন্টাভার্টিব্রাল ডিস্ক সরে যাওয়ার ফলে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই যন্ত্রণা পাচ্ছিলেন। সেখানে অস্ত্রোপচার করলে হয়তো আড়াই লক্ষ টাকা খরচ লাগত।
কিন্তু, অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের সাহায্যে ১৭ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয় যমুনা দেবীর। ওই পদ্ধতির সাহায্যে এল ৪ এবং এল ৫ ডিস্ক পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান এস এস কে এম এর পিএমআর বিভাগের প্রধান ডা রাজেশ প্রামাণিক। তার অধীনেই চলে অস্ত্রোপচার। সেই দিনই ছেড়ে দেওয়া হয় রোগীকে। রাজেশ বাবুর কথায়, অত্যাধুনিক এই চিকিৎসা যন্ত্রের দাম প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য তিনি রাজ্য সরকারকে প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।