বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Noise Pollution: ‘মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলছে মাইকবাজেরা’, পুরপ্রধান বলছেন, জানেন না! পুলিশ বলছে, নলেজে নেই

Noise Pollution: ‘মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলছে মাইকবাজেরা’, পুরপ্রধান বলছেন, জানেন না! পুলিশ বলছে, নলেজে নেই

প্রতীকী ছবি

HT Bangla Special Report: মধ্যমগ্রাম-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বহু অংশে মাইকবাজদের তাণ্ডবে আতঙ্কে মানুষ। রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভয়ে মুখ খুলতে চান না তাঁরা। কিছু বললেই রাজনৈতিক দাদা থেকে সমাজবিরোধীদের অত্যাচারের মুখে পড়তে হবে। বক্তব্য সকলেরই। 

‘পশ্চিমবঙ্গে শীতকাল মানেই আনন্দের সময়’— এই কথাটা যে কত বড় ভুল, তা সকাল সকাল টের পাওয়া গেল একটা ফোন থেকে। সংবাদমাধ্যমের অফিসে অশীতিপর বৃদ্ধার ফোন। ‘আপনারা প্লিজ কিছু একটা করুন। কাউকে বলেই কোনও লাভ হচ্ছে না।’

কে এই বৃদ্ধা? সুচিত্রা পাল (নাম পরিবর্তিত), বয়স ৮১, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। স্বামী ক্যানসারে আক্রান্ত। কখনও বাড়িতে, কখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। শীতকাল আসলেই আতঙ্কে ভোগেন তিনি। কীসের আতঙ্ক? একরাশ বিরক্তি নিয়ে সুচিত্রাদেবী ফোনের ওপার থেকে বলেন, ‘আমার স্বামী গত দু’দিন ধরে বিন্দুমাত্র বিশ্রাম নিতে পারছেন না। বাড়ির সামনে তারস্বরে মাইক বাজছে। শীতকাল এলেই প্রতি বছর এই কাণ্ড। আজ এই পাড়ায়, তো কাল পাশের পাড়ায়। মাইক বাজছে তো বাজছেই! ঘুমোনোর উপায় নেই, কোনও কাজ করার উপায় নেই। এমনকী জরুরি প্রয়োজনে যে পাশের মানুষটাকে কিছু বলব, তারও উপায় নেই।পাশাপাশি বসেও একে অপরের কথা শুনতে পাই না। এত শব্দ!’

কিন্তু পরিস্থিতি এমন হলে তো পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। থানায় জানানো হয়নি? সুচিত্রাদেবীর জবাব, দূষণ নিয়ন্ত্রণের হেল্পলাইনে তাঁরা ফোন করেছিলেন, থানায়ও জানিয়েছেন। আগেও জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ কিছু হয় না। সত্যিই হয় না? খুঁজে দেখার জন্যHTবাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় মধ্যমগ্রাম থানায়।

তারস্বরে বাজছে মাইক! পুলিশ বলছে, জানা নেই

মধ্যমগ্রাম থানায় ফোন করে ভারপ্রাপ্ত সুবিন্দু সরকারকে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসা করা হয়, মধ্যমগ্রাম-হৃদয়পুর চত্বরে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান চলে, সেক্ষেত্রে ডেসিবেলের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করা হলে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার নলেজে নেই কোথাও এমন কিছু হচ্ছে বলে।’ কোনও অভিযোগও থানায় করা হয়নি বলে তিনি জানান। সংবাদমাধ্যমের থেকেই নাকি প্রথম এমন কথা তিনি জানতে পারলেন। তবে তিনি আশ্বাস দেন, এমন কিছু ঘটছে কি না খতিয়ে দেখা হবে। বয়স্ক মানুষের অসুবিধা হচ্ছে, তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, এমন কথা শোনার পরে সুবিন্দুবাবু আবারও বলেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে খবর আসেনি।

HT বাংলার তরফে এর পরে যোগাযোগ করা হয়, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা অরুণ সাহা (নাম পরিবর্তিত)-র সঙ্গে। অরুণবাবুর দুই সন্তান। দু’জনের বয়সই ১০ বছরের নীচে। তিনি বলেন, ‘ছেলে স্কুলে পড়ে। সাত সকালে ছেলে ঘুম থেকে উঠে পড়ছে। ভালো করে ঘুমোতে পারছে না। পড়াশোনার দফারফা। ভোর ৫টা থেকেই তাণ্ডব শুরু।’ অরুণবাবুর বক্তব্য, বর্তমানে যেখানে মাইক বাজছে, সেখান থেকে তাঁর বাড়ি ১ কিলোমিটার মতো দূরে। তার পরেও শব্দ দানবের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবি। যদিও জানি না, তাতে লাভ হবে কি না।’

মাইকবাজদের অত্যাচারে প্রাণ অতিষ্ঠ মানুষের
মাইকবাজদের অত্যাচারে প্রাণ অতিষ্ঠ মানুষের

কী বলছেন পুরপ্রধান

HT বাংলার তরফে মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান নিমাই ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসা করা হয়, মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কারণে নিত্য মাইক বাজানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তাঁরা কি অবগত রয়েছেন? তিনি বলেন, শুধুমাত্র ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে এই ধরনের অনুষ্ঠান চলছে।সে বিষয়ে তিনি জানেন। অরুণবাবু এবং সুচিত্রদেবীর অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে তাঁকেHT বাংলার সাংবাদিক জানান, এই এলাকায় মাইক বাজানোর কারণে বয়স্ক মানুষের তীব্র অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। কথাটি শুনে নিমাইবাবু বলেন, ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা উদ্যোক্তা রয়েছেন, তাঁদের জানানো হবে এই অভিযোগের কথা। এবং অনুরোধ করা হবে আওয়াজ কমানোর জন্য।’ পুরপ্রধান বা স্থানীয় নেতানেত্রীদের অনেক সময়ে এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই সূত্রে নিমাইবাবু বলেন, ‘আমরা যখনই কোথাও এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই, উদ্যোক্তাদের বলি, নির্ধারিত শব্দসীমার মধ্যে মাইক বাজাতে। রাতে ৯টার পরে যেন মাইক না বাজানো হয়।’ নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকেও তিনি এই বিষয়ে জানাবেন বলেন। শব্দদূষণ রোধের জন্য রাতে পুলিশও তৎপর থাকে বলে জানিয়েছেন। যদিও বহু স্থানীয়রই অভিযোগ, রাতে ‘ফাংশন’-এর নামে তারস্বরে মাইক বা লাউডস্পিকার বাজানো হয়। পুলিশ প্রশাসনকে সেই বিষয়ে জানানো হলে কোনও ফল হয় না।

শেষ পর্যন্ত ঘুরে ফিরে সব অভিযোগের তীর সেই শাসক দলের দিকেই। অনেকেই এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতে চান না। কারণ তাঁদের ভয়, এই ধরনের মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা আসলে শাসক দলের লোকজন। ফলে প্রতিবাদ করলে শেষ পর্যন্ত বিপদে পড়তে হবে।

 

ঘুমের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারের অঙ্গ: তরুণজ্যোতি তিওয়ারি

এই প্রসঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল রাজ্য বিজেপির নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, গোটা ঘটনার দু’টি দিক আছে। ‘প্রথমত, রাত দশটার পরে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। এবং মাইকের আওয়াজ নির্দিষ্ট সীমা লঙ্ঘন করবে না। এই জাতীয় কোনও অনুষ্ঠান করতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু দেখা যায়, সে সবের তোয়াক্কা অধিকাংশ উদ্যোক্তারাই করেন না’, বলেন তিনি। এর পরে তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, ‘দ্বিতীয়ত আর একটি কথাও উপেক্ষা করে গেলে চলবে না। ইউনাইটেড নেশনস বর্তমানে ঘুমের অধিকার নিয়ে জোরদার সওয়াল করছে। আমাদের সংবিধানেরও ২১ নম্বর ধারায় মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকারের কথা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারের মধ্যে ঘুমও পড়ে। আর তীব্রভাবে মাইক বাজানোর ফলে সেটাই খর্ব হয়।’

আইনের সূত্র ধরেইHTবাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় মানবাধিকার এবং পরিবেশ কর্মী নব দত্তের সঙ্গে। নববাবুদের নাগরিক মঞ্চ দীর্ঘ দিন ধরে এই জাতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তাঁর কথায়, ‘মাইক তো কোনও অবস্থায় বাজানো উচিত নয়। একান্ত বাজানো হলেও তাতে সাউন্ড লিমিটার লাগিয়েই বাজানো উচিত। তাও সাইলেন্স জোনগুলোয় বাজানো যাবে না। অর্থাৎ যে সব জায়গায় স্কুল, হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে বাজানো যায় না।’ যদিও এসব আইনকে কেউ যে বিশেষ পাত্তা দেন না, তা মধ্যমগ্রাম হৃদয়পুর এলাকায় গেলেই স্পষ্ট টের পাওয়া যায়।

আবারও ফিরে আসে শাসক দলের ভূমিকার প্রশ্ন। কারণ এই প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি তিওয়ারির দাবি, ‘এই সব অনুষ্ঠানের অধিকাংশগুলোর সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের যোগ রয়েছে। ফলে পুলিশের সাহস হয় না এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। পুলিশ যদি মনে করে, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট, কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের সার্ভেন্ট নয়, তাহলে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু কেন ব্যবস্থা নেয় না, সেই উত্তর তাদেরই দিতে হবে।’

বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ধর্মচর্চার যোগ থাকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে তরুণজ্যোতি জানাচ্ছেন, ‘বহু ধর্মীয় অনু্ষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। সেটায় যেমন মানুষের অসুবিধা হয়, তেমনই কোনও কোনও ধর্মস্থান থেকে ভোরবেলা ধর্মীয় বাণী ভেসে আসে— সেটাও কাম্য নয়। কারণ তাতেও মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হয়।’ এর সঙ্গেই তাঁর অনুরোধ, ‘যাঁরা এই অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করছেন, তাঁরা তো অন্যদের ভালোর জন্য বা আনন্দ বিনোদনের জন্য করছেন, তাহলে দেখুন, সেটা যেন কারও নিরানন্দের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।’

 

বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা: চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত

তবে বিষয়টি যে শুধুমাত্র সাময়িক কষ্ট নয়, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবও থাকতে পারে, সে কথা বললেন সিএমআরআই হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘এই জাতীয় শব্দদূষণের ফলে শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু সেটিই একমাত্র সমস্যা নয়। দীর্ঘ দিন কেউ যদি এমন শব্দের মধ্যে থাকেন, তাহলে তাঁর রক্তচাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এবং প্রভাব পড়ে শরীরেও। সেটি হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।’

প্রাণহানির আশঙ্কাও কি বাড়তে পারে? চিকিৎসকের বক্তব্য, প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে শব্দদূষণ এমন বিপদ ঘটাতেই পারে। তাঁর কথায়, ‘পুরোটাই নির্ভর করছে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। তিনি যদি নিরন্তর এই ধরনের শব্দের মধ্যে থাকেন, তাহলে হার্ট-সহ নানা অঙ্গের উপরেই ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেটি পরবর্তী কালে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেয়।’

 

মানুষকে ‘বন্দি শ্রোতা’ বানাচ্ছে মাইকবাজেরা
মানুষকে ‘বন্দি শ্রোতা’ বানাচ্ছে মাইকবাজেরা

এভাবে মানুষকে ‘বন্দি শ্রোতা’ বানানো অপরাধ: নব দত্ত

বিপদের মাত্রা যেখানে এতটাই, সেখানে মানুষ কি আইনি সাহায্য পেতে পারেন না? নব দত্তর বক্তব্য, ‘মাইকিংয়ের অনুমতি নিতে গেলেই তো প্রশাসনের দায়িত্ব মাইকগুলিতে সাউন্ড লিমিটার আছে কি না, দেখে নেওয়া। না থাকলে মাইক বাজানো যায় না। আইন মেনে চললে কোথাও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আইন মানা হচ্ছে কি?’ নববাবুর বক্তব্য, ‘সংবিধানে স্পষ্ট রয়েছে, না শোনার অধিকার আছে প্রত্যেক মানুষের।কেউ যদি শুনতে না চান, তাহলে তাঁকে ‘বন্দি শ্রোতা’ বানানো যাবে না।’

 

ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা শুধু পুলিশের, আমাদের নেই: কল্যাণ রুদ্র

এই বিষয়েHTবাংলার তরফে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হেল্প লাইনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। যদিও রেকর্ডেড বার্তায় নানা অপশনের কথা এলেও, শেষ পর্যন্ত অভিযোগ জানানোর দোরগোড়া পর্যন্ত যাওয়া যায়নি। এর পরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘লাউডস্পিকার বা মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জোন আছে। সেই জোনের প্রেক্ষিতে মাইক ব্যবহার করতে হবে।’ নব দত্তর মতোই তিনিও বলেন, মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাউন্ড লিমিটার লাগাতেই হবে। ‘নিয়ম পালন হচ্ছে কি না, সেটা দেখা পুলিশের দায়িত্ব। পালন না হলে ব্যবস্থাও নিতে হবে পুলিশকে। সেটা আমাদের হাতে নেই।’

নব দত্ত বলেন, ‘ওঁরা সব সময় বলেন, ওঁদের হাতে পুলিশ নেই, তাই কিছু করতে পারেন না। যদিও রাজ্য দূষণ পর্ষদ উদ্যোগ নিলে অনেক কিছুই করতে পারে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে ওঁরা তৎপর হয়ে অনেক কিছু করতেন। তেমন উদাহরণও রয়েছে।’

এই বিষয় আইনে বিধিনিষেধের কথা বলা আছে, তা নববাবুর কথা থেকেই স্পষ্ট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে মাইক থেকে এই শব্দ বেরোচ্ছে, তা বাজেয়াপ্ত করার কথা উল্লিখিত রয়েছে, এমনই জানাচ্ছেন তিনি। ‘৬ মাস পর্যন্ত কারাবাস, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা আইনেই বলা হয়েছে।

 

তাহলে উপায় কী?

তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, ‘এখন প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে ধর্মস্থান থেকে মাইকের মাধ্যমে বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। কারণ ধর্মের সৃষ্টির সময়ে এই মাইকও ছিল না। তাই মাইককে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলা যাবে না। বরং এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে হেডফোন ব্যবহার করে কেউ এই সব ধর্মচর্চা করতে পারেন। লাইভও স্ট্রিমিং করা যেতে পারে। তাতে অন্যদের অসুবিধা হয় না।’

যদিও এ সবের কিছুই হয় না। অত্যাচার তার নিজস্ব নিয়মেই চলতে থাকে। তার সঙ্গে যে দেশের আইন, সংবিধান, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ— কোনও কিছুরই সম্পর্ক নেই, তা সাধারণ মানুষের কথা থেকে পরিষ্কার। বছর পঞ্চাশেকের জ্যোতিপ্রিয় সেন (নাম পরিবর্তিত)-এর বক্তব্য যেমন— ‘নিয়ম তো রাতে ১০টার পরে মাইক বন্ধ করার। রাত দেড়টাতেও তারস্বরে বাজছে মাইক। তার পরে হয়তো একটু কমানো হয়। কিন্তু বন্ধ তো হয় না। মাঝে মাঝে মনে হয়, তিলে তিলে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই মাইকবাজেরা।’

প্রতিবাদ করতে ভয় পান বেশির ভাগই। উঠে আসে চিরাচরিত একই কথা। ‘ওরা পলিটিক্যাল পার্টির লোক’, ‘ওরা অমুক সম্প্রদায়ের লোক’, ‘ওরা মস্তান’। বাতাসে মাইকের শব্দের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আর একটিই জিনিস— ভয়-ভয়-ভয়। কখনও তা মারধরের ভয়, কখনও টিটকিরির, কখনও বা অন্য কোনও হেনস্থার। ঈশ্বরকে ঢাল করে, আড়ালে দাঁত-নখ খিঁচিয়ে আস্ফালন চালিয়ে যেতে থাকে মাইকবাজেরা।

বাংলার মুখ খবর

Latest News

‘লোকের গুষ্টি উদ্ধার করতে-করতে হুইস্কি খাওয়ার জন্যই…’, বাবাকে নিয়ে স্বস্তিক কুলতলিতে বন্দি বাঘ, দিনভর আতঙ্ক বাড়িয়ে গভীর রাতে ধরা দিল রয়্যাল বেঙ্গল স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বার্সা! ১০ জনে খেলেই রিয়ালের বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে জয় মীন রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল কুম্ভ রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল মকর রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল ধনু রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল বৃশ্চিক রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল তুলা রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল কন্যা রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ১৩ জানুয়ারির রাশিফল

IPL 2025 News in Bangla

পিছিয়ে যাচ্ছে IPL, ইডেনের ভাগ্যে কি কোপ পড়বে? প্রথম ম্যাচ ও ফাইনাল কোথায় হবে? IPLর থেকে ঢাকা প্রিমিয়র লিগ কঠিন! অদ্ভূত কারণ দেখালেন পারভেজ রসুল!শুনে হাসি পাবে MCGতে হারের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত! তবে মত বদলানোয় অখুশি ছিলেন গম্ভীর? ‘মাথায় হাত থাকলে সুযোগের পর সুযোগ, আর না থাকলে… ’! BCCI আর গম্ভীরকে খোঁচা মনোজের অশ্বিনের পথে হেঁটে অবসরে জাদেজাও? রহস্যজনক পোস্টে বাড়ল জল্পনা! দেখে নিন সেই ছবি ২০২৫ IPLএ অধিনায়ক বিরাট? জল্পনা জিইয়ে রাখলেন ফ্লাওয়ার! বললেন,এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কাউন্টি খেলে ইংল্যান্ডে টেস্টের প্রস্তুতি নেবেন বিরাট? RCB না চাইলে প্রায় অসম্ভব ১১ জানুয়ারি আগরকরদের বৈঠক! বাদ যেতে পারেন জাদেজা! শামিকে দিতে হবে পরীক্ষা পিছিয়ে গেল PSL 2025-র ড্রাফটের তারিখ! লড়াইয়ে IPL 2025-এর অবিক্রিত ক্রিকেটাররা স্টার্ক-কামিন্সদের বিরুদ্ধে ৩৯১ রান! যশস্বীর প্রশংসায় অজি ওপেনার! কুর্নিশ ভনেরও…

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.