করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন শারদোৎসবের বিধিনিয়ম বৃহস্পতিবার ঠিক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটি, পুলিশ ও ধর্মগুরুদের নিয়ে এই বৈঠকে আসন্ন শারদোৎসবের রূপরেখা ঠিক করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুজোর আয়োজনে সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। থাকা একাধিক বিধিনিষেধ। তবে রাত জেগে ঠাকুর দেখায় থাকছে না কোনও বাধা। মমতা জানান, ‘তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত রাত জেগে ঠাকুর দেখা যাবে। তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ।’
এদিন মমতা জানান, কলকাতা ও জেলার পুজোয় পুজোর মণ্ডপ খোলামেলা করতে হবে। প্রতিমার মাথার ওপরে আচ্ছাদন থাকলেও চারদিক যেন খোলামেলা থাকে। এছাড়া পুজোকমিটিগুলিকে একদিক দিয়ে প্রবেশ ও অন্য দিক দিয়ে বেরনোর ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। এছাড়া ব্যারিকেড করে ব্যারিকেডের ভিতরে গোল করে দাগ কেটে দিতে বলেছেন দর্শকদের সুবিধার জন্য।
পুজোর অঞ্জলি ও সিঁদুরখেলা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে করতে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। অঞ্জলি দেওয়ার সময় মাইক্রোফোনে পুরোহিতকে মন্ত্রোচ্চারণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সিঁদুরখেলাতেও ছোট দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তবে ঠাকুর দেখায় কোনও বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। একাদশী পর্যন্ত ঠাকুর দেখা যাবে সারা রাত। তবে অবশ্যই মুখে থাকতে হবে মাস্ক।
বিসর্জনের বিধি ঘোষণা করে মমতা বলেন, এক সঙ্গে সমস্ত পুজো যেন বিসর্জন না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য তৎপর হতে হবে থানার আইসিদের। বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না।
বলে রাখি, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সারা রাত নাইট কার্ফু জারি থাকবে বলে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভুয়ো মেসেজ ভাইরাল হয়। সেই মেসেজ ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন মমতার ঘোষণায় স্পষ্ট হল তেমন কোমও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের।