আমফান গেছে প্রায় দুই দিন হতে চলল। এখনও মহানগরীর অনেক অংশ অন্ধকারে ডুবে। নেই জলের যোগানও । ক্রমশই দুর্বিসহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তাই অনেক জায়গায় বাঁধছে ধৈর্য্যের বাঁধ। এদিন শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই খারপ, বিশেষ আশার কথা শোনাতে পারছে না প্রশাসন।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন যে সাতদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন পুরকর্মী ও অন্যান্যরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন পরিস্থিতি শুধরোনোর জন্য। অন্যদিকে এই পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন মানুষের বিক্ষোভ প্রমাণ যে প্রত্যাশা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে শাসক দল। ফিরহাদ অবশ্য বলেন যে যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা চলছে, সেখানে দিলীপ একটু কম কথা বললেই ভালো।
বেহালায় বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। অমিত দত্ত বলে এক নাগরিক পিটিআইকে বলেন যে মোবাইল কানেকশন, ইলেকট্রিসিটি ও পানীয় জল ছাড়া বসে আছি। এটা কি রসিকতা হচ্ছে! তিনি বলেন যে মোবাইল কানেকশন না হলেও চলবে জল ও বিদ্যুত্টা তো লাগবে। তারা ন্যূনতম পরিষেবা চাইছেন, তিনি বলেন।
মধ্য কলকাতার বাসিন্দা পূজা সাহা বলেন যে গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। পুরসভার হেল্পলাইনে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্ত ড্রেন আমফানের ফলে আটকে পড়েছে। হাকিম অবশ্য বলেন যে সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। যতটা সম্ভব জলদি বিদ্যুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে অজয়নগরে ইএম বাইপাস আটকে বিক্ষোভ করেন নাগরিকরা। তাঁদের প্রশ্ন, ২৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে আলো আছে। বাকিদের নেই। এটা কেমন বিচার! একই সঙ্গে পানীয় জলের অভাবের কথাও বলেন নাগরিকরা।
পৌরসভার হয়ে সাফাই গেয়ে ফিরহাদ বলেন যে এমন সাইক্লোন আসবে কে জানত। পাঁচ হাজার গাছ পড়েছে। অনেক রাস্তা সাফ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ লাগবে।
রাজ্যে আমফানে এখনও পর্যন্ত মৃত ৮৬। তারমধ্যে কলকাতায় ঝড়ের বলি ১৯। পর্ণশ্রী লেকের পাশের জমা জল থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।