তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এবার সেই ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক নিজেই। ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে পোস্ট করে অভিষেক জানান, ‘ডায়মন্ড হারবার আবারও অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল।’
দুদিন আগেই রাজ্যে গঙ্গাসাগর মেলা হয়ে গিয়েছে। মকর সংক্রান্তির দিন প্রচুর মানুষ পুণ্যস্নানের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। ভৌগলিক অবস্থানের কথা বিচার করলে এই গঙ্গাসাগর মেলা যেখানে হয়েছে, সেখান থেকে কাছেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল, গঙ্গাসাগর মেলার এই জমায়েত থেকেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তার এই প্রভাব আশেপাশের এলাকাতেও পড়বে।
তবে এরই মধ্যে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষে ডায়মন্ড হারবার এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষা হয়। সেখানেই দেখা যায়, ডায়মন্ডহারবারে পজিটিভিটির হার তিন শতাংশের নীচে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমি ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ, তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের পাশে থেকেছেন। সহযোগিতা করেছেন।’
এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পুরভোট পিছোনোর সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানিয়েছিলেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে টুইটে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিন সপ্তাহের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। এই তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলার পজিটিভিটি রেট তিন শতাংশের নীচে নামিয়ে ফেলতে হবে। এটাই হবে আমাদের চ্যালেঞ্জ। সকলকে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়তে হবে। তবে রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও নিজের ব্যক্তিগত মত পোষণ করে অভিষেক জানিয়েছিলেন, আগামী দু'মাস রাজনৈতিক সভা বন্ধ রাখা উচিত।