বিধায়ক দল ছাড়লেও মানুষে তাদের সঙ্গে আছেন। সোমবার ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা কর্মীদের কাছে এমনই বার্তা দিতে চাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এদিন তিনি সাগরদিঘি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন রাজ্যে মানুষই শেষ কথা বলবেন।
মহাজাতি সদনের অনুষ্ঠানে অধীর বলেন,'নিশ্চিন্তে থাকুন বাংলায় কংগ্রেসের পুনর্জাগরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবে না, কংগ্রেসও বলবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত হয়নি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর। কারণ শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূলকে শ্মশানে যেতে হবে।' প্রসঙ্গত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে জয়লাভের কয়েক মাস পরই বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলের যোগ দেন।
এদিনের সভায় অধীর দাবি করেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কংগ্রেস যোগ দেওয়ার আবেদন আসছে। সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের জামাই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,'এখানকার মন্ত্রীর জামাই ইয়াসর আলি যোগ দিয়েছেন।'
এদিন আরও একবার ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের পুনরুত্থান শুরু হয়েছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার পা ধরছেন।’
(পড়তে পারেন। মুখ্যসচিবের উপর রেগে লাল পুলিশমন্ত্রী মমতা, গলার কাঁটা এখন দত্তপুকুর বিস্ফোরণ!)
(পড়তে পারেন। ‘সংবাদপত্র পড়েই কি মামলা?’ শুভেন্দুকে মামলা প্রত্যাহারে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির)
এদিন তিনি কংগ্রেস কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করা হবে। তিনি বলেন,'বিজেপি বলবে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের মিল হয়ে গেল। আবার তৃণমূল বলবে, কংগ্রেস করে কী হবে, ফিরে এসো। কোনও কথা বিভ্রান্ত হবেন না। আমি পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি বলে যাচ্ছি এই লড়াইয়েক একদিকে বিজেপি আরেকদিকে টিএমসি।' বিধায়কের চলে যাওয়া নয়, সাগরদিঘির ফলকে গুরুত্ব দিয়ে লোকাসভা ভোটের আগে তুলে ধরতে চাইছে কংগ্রেস। সেই বার্তাই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে দিলেন অধীর।