এক সপ্তাহ হল ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়–অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁদের নাম জড়িয়েছে। কিন্তু তাঁদের কীর্তিতে ওদের কী দোষ? ফ্ল্যাটবন্দি ঘরে জল নেই, খাবার নেই। তাই চিৎকারের জোরও কমে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কে শুনবে ওদের আর্তনাদ? অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটের ৯ পোষ্যের বিষয়ে চর্চা তুঙ্গে। ওই পোষ্যগুলির দেখভালের জন্য ইডির কাছে আবেদন জানিয়েছে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন।
ঠিক কোন বিষয়টি সামনে এসেছে? টালিগঞ্জের আবাসনটির দোতলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে টাকা, সোনা, নথি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ১৯ তলার ১৬০০ স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাটটিতে রয়েছে ৯টি বিভিন্ন প্রজাতির সারমেয় রয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সারমেয়গুলিকে ছেড়ে দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন কেয়ারটেকার। ফলে অত্যন্ত কষ্টে রয়েছে পোষ্যগুলি। ইডি হেফাজত থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতাল, কেঁদে ভাসাচ্ছেন অর্পিতা। জানতে চাইছেন পোষ্যদের খবর কী? বলে সূত্রের খবর।
কোন কোন প্রজাতির সারমেয় রয়েছে? সূত্রের খবর, এইসব সারমেয়দের মূল দেখভালের দায়িত্ব অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থাকলেও সেগুলি আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পোষ্য। এগুলির দাম অন্ততপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা। পোষ্যদের তালিকায় রয়েছে— রটওয়েলার, ইংলিশ বুলডগ, ফ্রেঞ্চ বুলডগ, পাগ, বিগল, দু’টি করে ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই খবর শুনে আবাসনে আসেন একাধিক পশুপ্রেমী। তাঁরা ওই সারমেয়গুলির দেখাশোনার ভার নিতে চান। যদিও এক কুকুর প্রশিক্ষক অজয় বলেন, ‘ওরা ঠিকঠাক রয়েছে। কোনও অসুবিধা নেই। দেড়মাসের মতো খাবার রয়েছে। আর যা জিনিস প্রয়োজন সবটা আছে।’ আবাসনের কাউকেই বিরক্ত করছে না সারমেয়গুলি। তাদের সারাক্ষণ দেখভালের জন্য দু’জন কেয়ারটেকার থাকেন। সেই দু’জনেই রয়েছেন। কেউ পালিয়ে যাননি।