বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পোষ্য টিয়াই প্রাণ বাঁচাল সুজয়দের, কে লাগাল আগুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

পোষ্য টিয়াই প্রাণ বাঁচাল সুজয়দের, কে লাগাল আগুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

এই সেই টিয়া

কোনও রকমে আগুন নেভাতে পারলেও পিছন দিকের কিছুটা অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়নি। প্রাণে বেঁচে যান দুজনেই।

পোষ্য টিয়া পাখির চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় দম্পতির। দেখেন, ঘরে আগুন জ্বলছে। কোনওরকমে আগুন নিভিয়ে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। ওই দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজয় মণ্ডল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগার শ্যামবাদল পাড়ায়। বেড়ার ঘরে অতিকষ্টে দিনযাপন করেন তাঁরা। তাদের ঘরেই রয়েছে পোষ্য টিয়া পাখি ‘‌মিঠু’‌। গতকাল রাতে কাজ সেরে বাড়িতে এসে ঘুমি্যে পড়েছিলেন সুজয়। সারাদিন খাটাখাটনির পর তাঁর স্ত্রীও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর মিঠুর চিৎকারের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। দেখেন, সারা বাড়ি ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। কিন্তু এত ধোঁয়া এল কোথা থেকে?‌ এদিক ওদিক খোঁজাখুজি করতে করতে দেখা যায়, বাড়ির পিছন দিক থেকে আগুন লেগেছে। কোনও রকমে আগুন নেভাতে পারলেও পিছন দিকের কিছুটা অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়নি। প্রাণে বেঁচে যান দুজনেই।

সুজয়ের স্ত্রী জ্যোৎস্না মণ্ডলের দাবি, মিঠু চিৎকার না করলে, তাঁরা টের পেতেন না। প্রাণেও বাঁচতেন না। শেষ পর্যন্ত কী যে পরিণতি হত, তা ভেবে শিউরে উঠছেন ওই ২ দম্পতি। কিন্তু এই আগুন লাগা কি নিছকই দুর্ঘটনা?‌ সেটা কিন্তু মানতে পারছেন না ওই দম্পতি। তাঁদের মতে, এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। সুজয়ের মতে, ‘‌বৃহস্পতিবার সকালে দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ মিটমাট করতে গিয়েছিলাম। ঝামেলা মিটমাট করার অপরাধেই তাঁর ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।’‌ জানা যায়, বিল্লা সর্দার ও লালটু–তুতুনদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদ মেটাতে গিয়েছিলেন সুজয়। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটানোর পিছনে বিল্লা সর্দারের পরিবার রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সবদিক খতিয়ে দেখছে।

বন্ধ করুন